ছবি আঁকা থেকে গান লেখা এবং তাতে সুর দেওয়া করে থাকেন তিনি। বাংলায় একাধিক এই নজির রয়েছে তাঁর। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও সংস্কৃতিকে নিয়ে নাড়াচাড়া করে থাকেন তিনি। আবার নানা পুজোর গান থেকে মন্ত্রপাঠ করে থাকেন তিনি। এবার সেই সব গান একসঙ্গে শুনতে পাবেন বাংলার মানুষজন। হ্যাঁ, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর লেখা ও সুর দেওয়া গান এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাঁর লেখা কবিতা সেরার সম্মান পেয়েছে। তাঁর গান প্লাটিনাম ডিস্ক পেয়েছে। মহালয়ায় প্রকাশিত তাঁর গান পুজোর মধ্যেই ইউটিউবে মিলিয়ন ভিউয়ার পার করেছে।
সুরুচি সংঘের পুজোর থিম সং নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। যা এখন বহু মানুষের মোবাইলে রিং টোন হয়ে রয়েছে। তাঁরা যে সবাই তৃণমূল কংগ্রেস করেন এমন নয়। সাধারণ মানুষের মোবাইলে ঘুরছে সেই গান রিং টোন হিসাবে। এই বছরও মুখ্যমন্ত্রীর যে ৬টি গান একসঙ্গে রিলিজ হয়েছে তার সমস্ত গানই জনপ্রিয়তায় চরমে পৌঁছে গিয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত গান একসঙ্গে, এক মঞ্চে শোনার সুযোগ পাবেন সংগীতপ্রেমীরা। এমনকী এবার সেই সুযোগ মিলবে বাংলার সাধারণ মানুষের কাছেও।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাস ডে থেকে নিউ ইয়ার মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, সরকারি বাসের পরিষেবা জানুন
সূত্রের খবর, আগামী ১২ জানুয়ারি রাজডাঙা খেলার মাঠে একটি বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩২টি গান নিয়ে ওই কনসার্ট হবে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন অর্থাৎ যুব দিবসে ওই কনসার্ট হবে। যেখানে বহু বিশিষ্ট মানুষজন উপস্থিত থাকবেন। সাধারণ মানুষও সেই সব গান শুনতে আসবেন। আর সব থেকে বড় পাওনা হল, ওই কনসার্টে গানগুলি যাঁরা করেছেন, তাঁরাই গানগুলি গাইবেন। সেই সব প্রতিথযশা শিল্পীরা হলেন—ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিত্র, মনোময় ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা।
এই খবর চাউর হতেই এখন থেকেই সেখানে প্রবেশের জন্য খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন অনেকে। সদ্য বড়দিন উপলক্ষ্যেও একটি গান রচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা ক্রিসমাস ইভে বেজে উঠছে। অ্যালেন পার্কে তা আগেই শোনা গিয়েছিল। কনসার্টে সেটাও শোনা যাবে। যে গানটি গেয়েছেন এবং কনসার্টে গাইবেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ এই কনসার্টের উদ্যোক্তা হলেন বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই ৩২টি গান শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয় তার মাঠে পাঁচদিনের পিঠেপুলি উৎসব শুরু করছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।