নিজেদের খোঁড়া গর্তে পড়েই হাঁসফাঁস করছে বিদর্ভ। নাগপুরে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির এলিট-এ গ্রুপের ম্য়াচে চূড়ান্ত ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে বিদর্ভ। ফলে দ্বিতীয় দিনের শেষে ঘরের মাঠে কোণঠাসা দেখাচ্ছে উমেশ যাদবদের।
নাগপুরের পিচে বোলারদের জন্য যে পর্যাপ্ত সাহায্য রয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল শুরু থেকেই। সেই কারণেই টস জিতে সৌরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় হোম টিম। চেতেশ্বর পূজারার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও সৌরাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে ২০৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
সৌরাষ্ট্রকে প্রথম ইনিংসে কম রানে বেঁধে রাখার পরে ম্য়াচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বিদর্ভের সামনে। তবে তখনও বোধহয় অক্ষয় ওয়াদকররা বুঝতে পারেননি যে, নিজেদের তৈরি পিচেই ১০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারবেন না তাঁরা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, কোনও রকমে ২০০ রান টপকেও সৌরাষ্ট্র প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১২৮ রানের লিড পেয়ে যায়। জাতীয় দল থেকে রাজ্য দলে ফিরে জিতেশ শর্মা ২৮ রান করে আউট হন। ৩১ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া প্রথম ইনিংসে বিদর্ভের হয়ে দুই অঙ্কের রান করেন কেবল অথর্ব টাইডে। তিনি ৩৩ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। ব্যাটের হাত খারাপ নয় উমেশ যাদবের। তবে তিনি মাত্র ৩ রান করে আউট হন।
সৌরাষ্ট্রের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন চিরাগ জানি। ৫ রানে ২টি উইকেট নেন প্রেরক মানকড়। ৪৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন জয়দেব উনাদকাট। ১২ রানে ১টি উইকেট নেন আদিত্য জাদেজা।
সৌরাষ্ট্র দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে তারা এখনই এগিয়ে ৩৩৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে খাতা খুলতে পারেননি হার্ভিক দেশাই। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ৯২ বলে ৫৭ রান করেন কেভিন। ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২০১ বলে ৭৯ রান করে মাঠ ছাড়েন বিশ্বরাজ জাদেজা।
চেতেশ্বর পূজারা ৭টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ১০১ বলে ৪৯ রান করে নট-আউট থাকেন। পূজারা প্রথম ইনিংসে করেন ৪৩ রান। এছাড়া শেল্ডন জ্যাকসন ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন দ্বিতীয় দিনে। উমেশ যাদব, যশ ঠাকুর ও আদিত্য ঠাকারে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।