পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করছেন। কিন্তু এর পরিণতি পাকিস্তানকে ভোগ করতে হতে পারে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিসিসিআই-ও পাহেলগাঁও আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পারে। আসলে, এশিয়া কাপ এই বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং এর আয়োজক দেশ ভারত। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিসিসিআই
সুনীল গাভাসকর মনে করেন যে, পহেলগাঁও আক্রমণের পর অনেক কিছু বদলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের পক্ষে এখন এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করা অসম্ভব বলে মಌনে হচ্ছে। ত⛎াঁর মতে, বিসিসিআই সব সময়ে ভারত সরকারের নির্দেশ মেনে চলে এবং এশিয়া কাপেও একই বিষয় দেখা যাবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে গাভাসকর বলেছেন, ‘বিসিসিআই-এর অবস্থান সব সময়েই, ভারত সরকারের কথা অনুযায়ী চলা। তারা যা করতে বলে তাই করে। তাই আমি মনে করি না, এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও এর কোনও পরিবไর্তন আসবে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের এই বিশেষ সংস্করণের আয়োজক, তাই এটি নির্ভর করে পরিস্থিতি আদৌ পরিবর্তিত হয়েছে কিনা তার উপর, তবে যদি পরিস্থিতি না বদলায়, তাহলে আমি এখন পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের অংশ হতে দেখছি না।’ গাভাসকর স্পষ্ট ভাবেই বলে দিয়েছেন যে, আগামী দুই মাসে দুই দেশের সম্পর্ক কেমন থাকে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
এসিসি বিলুপ্ত হতে পারে
সুনীল গাভাসকরের মতে, পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। এর অর্থ হল এসিসি-র ভবিষ্যতও বিꦬপদের মধ্যে রয়েছে এবং যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে এটির অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তা🐟ঁ দাবি, এশিয়া কাপের পরিবর্তে, কেবল তিন বা চার দেশের মধ্যে একটি টুর্নামেন্ট খেলা হতে পারে।
পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে গাভাসকর বলেছেন, ‘আমি জানি না, এটা কী ভাবে হবে। হয়তো এসিসি ভেঙে দেওয়া হবে, এবং শধু তিনটি দলই খেলতে পারে। এটি তিন দেশের টুর্নামেন্ট হয়ে উঠতে পারে, অথবা চার দলের টুর্নামেন্টও হতে পারে, যেখানে হংকং বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করছে, আগামী 🧸কয়েক মাসের মধ্যে কী ঘটবে তার উপর।’