ডিওয়াই পাতিল টি-২০ কাপে ধুন্ধুমার ক্রিকেট। শনিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল ইউনিভার্সিটি গ্রাউন্ডে সম্মুখসমরে নামে জৈন ইরিগেশন ও নিরলন। ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় ৩৮ ওভার। সাকুল্যে ৪৪১ রান ওঠে ম্যাচে। উইকেট পড়ে ১০টি।
এই ম্যাচে জৈন ইরিগেশনের হয়ে মারকাটারি শতরান করেন হার্দিক তামোরে। নিরলন বড় রানের ইনিংস গড়েও ম্যাচ হেরে বসায় ব্যর্থ হয় আর্য দেশাই ও ইশান মালচন্দনীর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি।
ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিরলন। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে আর্য দেশাই ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৬ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এমন আগ্রাসী ইনিংসে আর্য ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইশান ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। ইশান মোট ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া কুণাল সিং রাঠোর ১৪ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন অমোঘ ভাকতাল ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ২৪ রানের যোগদান রাখেন। জৈন ইরিগেশনের হয়ে সাইরাজ পাতিল ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন।
জয়ের জন্য জৈন ইরিগেশনের সামনে টার্গেট ছিল ২২০ রানের। পালটা ব্যাট করতে নেমে জৈন ইরিগেশন ১৮ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২ ওভার বাকি থাকতেই নিরলনের রানের পাহাড় টপকে যায় জৈন ইরিগেশন। তারা ১২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে।
ঝোড়ো শতরান হার্দিক তামোরের
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক তামোরে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হার্দিক শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৪৪ বলে। সাহায্য নেন ৮টি চার ও ৮টি ছক্কার। শেষমেশ ১১টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ বলে ১৩২ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হার্দিক।
এছাড়া ক্যাপ্টেন জয় বিস্তা ১৯ বলে ৩৩ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। মাধব তিওয়ারি করেন ১৬ বলে ২১ রান। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। আর্শাদ খান ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিরলনের হয়ে সৌরভ সিং ৪ ওভারে ৫৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ম্যাক্সওয়েল স্বামীনাথন ১টি উইকেট পেলেও ২ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন।