বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সাড়ে চার টেস্টে খেলেই বুমরাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন, যদি তিনি ভারতে না জন্মে ইংল্যান্ডে বা অস্ট্রেলিয়ায় জন্মাতেন, তাহলে আরও আগেই তিনি ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসারের আখ্যা পেয়ে যেতে পারতেন। কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিল বুমরাহর। লিডসে আগামী মাস থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। তাঁদের দেশে খেলা মানে এক্ষেত্রে ফাস্ট বোলাররাই বেশি সুবিধা পাবে সবুজ উইকেটে সেকথা বলাই বাহুল্য। স্টিভ হারমিনসন হোক, জিমি অ্যান্ডারসন, অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফ, টিম ব্রেসনান, স্টুয়ার্ট ব্রড। নিজেদের দেশে ইংল্যান্ডের পেসাররা বারবারই ঝলক দেখিয়েছেন। এবারের ইংল্যান্ড সিরিজে বুমরাহ ছাড়া তেমন বড় নাম বলতে কেউই নেই ভারতের। কারণ শামি আনফিট। উমেশ, ইশান্তদের বয়স হয়েছে। তাই ভরসা ওই সিরাজ, শার্দুল, প্রসিধরা।
ইংল্যান্ডে এটি বুমরাহর তৃতীয় সিরিজ হতে চলেছে। এর আগে দুই সিরিজে ভারতীয় পেসার ৩৭ উইকেট নিয়েছেন ৮ উইকেটে, গড় ২৩.৭৮। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা, কারণ তাঁর ফিটনেসের যা অবস্থা তাতে পাঁচ টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন না। সেকথা মাথায় রেখেই বুমরাহ বলছেন, ‘ইংল্যান্ডে খেলা সব সময়ই অন্যরকম একটা চ্যালেঞ্জ। আমি এখানে ডিউক বলে বোলিং করতে পছন্দ করি। কিন্তু আমি জানি না যে এখন ডিউক বল কতটা কাজ করছে, কিন্তু পরিবেশ সব সময়ই সুইং সহায়ক। বল একটু নরম হয়ে গেলে আবার কাজটা কঠিন হয়ে যাবে, তবে এখানে খেলতে আমি সব সময়ই উপভোগ করি ’।
ইংল্যান্ড দলের কোচের পদে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আসার পর থেকেই বেন স্টোকসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক নতুন ধরণের ব্যাটিং টেকনিক বা ব্যাটিং মানসিকতার সঞ্চার ঘটিয়েছেন ইংরেজ কোচ। সেটা হল বাজবল। বাজ হল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাক নাম, আর এই নামের অর্থাৎ ব্রেন্ডনের মতোই মারকাটারি ব্যাটিং। যদিও তাতে ইংল্যান্ড খুব একটা লাভবান হয়নি। ভারতে এসে এগিয়ে থাকা সিরিজ যেমন ৪-১ হেরেছে ইংরেজরা, তেমনই WTC ফাইনালের ধারে কাছেও তাঁরা ছিলেন না।
বুমরাহ অবশ্য এই বাজবল টেকনিককে তেমন তোয়াক্কা করছেন না, কারণ তাঁর বোলিংয়ে এর আগেও ইংরেজরা দিশেহারা হয়ে গেছে। সেই নিয়েই ভারতীয় পেসার বলছেন, ‘ওরা একটা অভিনব স্টাইলের ক্রিকেট খেলছে, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আমি ওদের এই ব্যাটিং টেকনিক খুব একটা বুঝতে পারিনি। ব্য়াটাররা যদি আগ্রাসী ভূমিকা নেয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা বোলাররা আত্মবিশ্বাস পাই। কারণ ভালো বোলিং করলে সেদিন উইকেট তুলে নেওয়া যেতেই পারে ’।