নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারের মুখে ভারত। বৃষ্টি ছাড়া এই ম্যাচে ভারতের পক্ষে ড্র করা বা জেতা কার্যত অসম্ভব। অবশ্য ক্রিকেটে মিরাকেলও হয় কখনও কখনও। কিন্তু চিন্নাস্বামীতে মিরাকেল করার মতো ক্রিকেটার এই মূহূর্তে ভারতীয় দলে রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের টপ অর্ডার যতটা সফল, লোয়ার মিডল অর্ডার ততটাই ব্যর্থ হল।
রাহুলের ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল পন্ত-সরফরাজ-
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার বাঁচাতে গেলে ভারতীয় দলকে চতুর্থ দিনে পুরোটাই ব্যাটিং করতে হত। ২৩১ রানে ৩ উইকেট দিয়ে দিনের শুরুটা করেছিল ভারত। সরফরাজ খান দুর্দান্ত শতরান করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৫০ রানে আউট হন। তাঁর ব্যাটিংয়ে সুবাদেই এই ম্যাচে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। ঘরোয়া ক্রিকেটের ছন্দ জাতীয় দলের হয়ে সুযোগ পেয়েই দেখিয়েছিলেন সরফরাজ। কিন্তু ঋষভ পন্ত বাদে এদিন আর কেউই তাঁকে সঙ্গত দিতে পারলেন না।
গোটা ম্যাচে মাত্র ১২ রান রাহুলের-
ব্যক্তিগত ৯৯ রানের মাথায় আউট হন ঋষভ পন্ত। তখন ভারতের স্কোর ৪৩৩। অর্থাৎ ভারতের পঞ্চম উইকেটের পতনের পর ৩০ রানও যোগ করতে পারল না ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডার এবং টেলেন্ডাররা। তাঁর মধ্যে রয়েছেন ৫০টির অধিক ম্যাচ খেলা লোকেশ রাহুলও। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানপুরে অর্ধশতরান করলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও ধরাশায়ী অবস্থায় হল রাহুলের। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ০, দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন মাত্র ১২ রান। এরপরই রাহুলের দিকে সোশাল মিডিয়ায় উড়ে এল সমালোচনার ঝড়।
আরও পড়ুন-এক যুগ পর ভারতে এসে শতরান কিউয়ি ব্যাটারের! রস টেলরের পাশে নাম তুললেন রাচিন রবীন্দ্র…
লোয়ার অর্ডার ব্যর্থ হতেই হারের মুখে ভারত-
এই টেস্ট শুরুর আগেই ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন ক্রিকেটারদের থেকে প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক খেলা যেমন তিনি দেখতে চান, তেমনই ক্রিকেটারদের ধৈর্য্যশক্তিও যাচাই করতে দুদিন ধরেও ব্যাটিং দেখতে চান তিনি। কিন্তু আদতে দেখা গেল, তৃতীয় দিনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৭৭ রান পন্ত এবং সরফরাজ খান যোগ করার পরই, ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে আবারও বিপর্যয় নেমে এল। এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য, প্রতি ম্যাচে চেন্নাইয়ের মতো অশ্বিন-জাদেজা জুটি বল হাতে ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা সামাল দিতে পারবেন না।
সোশাল মিডিয়ায় রাহুলকে কটুক্তি-
টানা ব্যর্থতার মাঝে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একাধিক তীর্যক মন্তব্য উড়ে এল। কেউ কেউ বললেন, টি২০তে টেস্ট খেলতে গিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কাছে আইপিএলে ঝাড় খেয়েছিলেন রাহুল, আর টেস্টে তিনি আসল সময় খেলতে পারলেন না। আবার এক ইউজার বললেন, টি২০ বিশ্বকাপে রাহুল ছিলেন না বলেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নাহলে সেখানে গিয়ে টেস্ট ফরম্যাটের ফর্মে দেখা যেত কেএলকে।