পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে সিরিজ হারের পরে পাকিস্তানে সেই চরম লজ্জার মুখে পড়লেন ‘টাইগার’-রা। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পরে রবিবার লাহোরে নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য নেমেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বেআব্রু হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ছয় উইকেটে ১৯৬ রান তোলার পরে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। জিতে যায় সাত উইকেটে। ৪৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মহম্মদ হ্যারিস। সেইসঙ্গে সিরিজের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ পাকিস্তানি ব্যাটার।
২ বাংলাদেশি ওপেনার রান পেলেও বাকিরা ঝোলালেন
কিন্তু হ্যারিসের মতো বাংলাদেশের কেউ এরকম নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। বরং সিরিজের তিনটি ম্যাচেই কার্যত একই ধারায় এগিয়েছে বাংলাদেশ। মন্দের ভালো বলতে রবিবার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান (৩২ বলে ৪২ রান) এবং পারভেজ হোসেন ইমন (৩৪ বলে ৬৬ রান) রান পান।
আরও পড়ুন: ভালো ও ইতিবাচক পরিবেশে থাকতে চাইছিলাম! PBKS-কে ফাইনালে তুলেই সোজা KKR-কে ঠুকলেন শ্রেয়স?
BPL-র গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ?
কিন্তু লিটন দাস এবং তৌহিদ হৃদয় সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। ফিনিশার হিসেবে শামিম হোসেনও দাগ কাটতে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগে (বিপিএল) কয়েকটি দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে তিনি এখনও পুরোপুরি খাপ খাইয়ে উঠতে পারেননি। সেই সার্বিক ব্যর্থতার জেরে লাহোরের পাটা পিচে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দেওয়ার মতো রানটাই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: KKR 'সম্মান' দেয়নি, ১১ বছর পরে PBKS-কে ফাইনালে তুললেন শ্রেয়স, নয়া চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে IPL
তাই প্রথম ওভারে বাংলাদেশ উইকেট তুলে নিলেও পাকিস্তান কখনওই রান তাড়ার ক্ষেত্রে চাপে পড়েনি। হাসতে-হাসতে ১৭.২ ওভারেই জিতে যায় পাকিস্তান। তার ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠের ভিতরে কিছুই জিততে পারল না বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে শেষ পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাঁচটিতেই হারল (দুটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে, তিনটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে)।
বাংলাদেশ সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন লিটন
আর সেই হারের পরে সেই ‘ফাটা রেকর্ড’ বাজিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘শেষ দুটি ম্যাচে আমরা ভালো বল করিনি এবং ভালো ফিল্ডিং করিনি। এই পিচে আমরা বল করেছি। কিন্তু আলাদা-আলাদা ব্যাটারকে কীরকমভাবে বল করব, সেটা আমাদের শিখতে হবে।’ সেইসঙ্গে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্যানদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ আমরা একটিও ম্যাচে জিততে পারিনি। কিন্তু আশা করছি যে আমরা প্রত্যাবর্তন করব।’