বাড়িতে থাকলে হামলা হতে পারে। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ আসছিল। আতঙ্কে পার্টি অফিসে রাত্রিবাসের সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেসে প্রার্থীরা। বহরমপুর পুরসভার কংগ্রেসের ২৬জন প্রার্থী একেবারে দল বেঁধে পার্টি অফিসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তাঁদের অভিযোগ, ২৮ আসনবিশিষ্ট বহরমপুর পুরসভাতে ইতিমধ্যেই দুজন কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদিকে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই একাধিক কংগ্রেস প্রার্থীকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনে এসে বার বার শাসিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তারা গুলিও চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই কার্যত ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য় পার্টি অফিসে রাত্রিবাস করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। শুক্রবার রাত থেকে তারা বহরমপুরে কংগ্রেসের পার্টি অফিসে রাত্রিবাস করছেন। কংগ্রেস নেত্রী শুক্লা সরকার বলেন, গতকাল আমাদের দুজন প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়েছে। ওদের পরিকল্পনা ছিল প্রতি প্রার্থীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেবে। সেকারণেই আমরা চলে এসেছি। আমরা ২৬জন প্রার্থী রয়েছি। আমাদের পরিবারকেও ভয় দেখাচ্ছে। আমরা অধীর চৌধুরীর সৈনিক। জয় আমাদের হবেই। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ওদের জানে ভোটে হেরে গেলে প্রমোটারি বন্ধ হয়ে যাবে। লুঠ বন্ধ হয়ে যাবে। ওদের ভরসা এখন গুলি, বারুদ। দেখা যাক ভোট পর্যন্ত কী হয়!