এবার রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন নিয়ে দামামা বেজে উঠেছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে ঝামেলা দেখা দিলেও চমক রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের নজরকাড়া পুরসভা প্রার্থী দেখা গেল কামারহাটিতে। কারণ, এই পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে বিধায়ক মদন মিত্রের পুত্রবধূ মেঘনা মিত্রকে। অথচ সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার কোনও বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়নি। একই পরিবারে বিভিন্ন সদস্যকে প্রার্থী করা হবে না। সেখানে মদন মিত্র নিজেই বিধায়ক। তাঁর পুত্রও দলের সঙ্গে জড়িত এবং পুত্রবধূ এবারের প্রার্থী। যদিও বিধায়কের অনুগামীরা খুশি। তবে খড়দহের প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন মদন মিত্রের পূত্রবধূ। হীরালাল মজুমদার কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতেন মেঘনা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে ২০১১ সালে প্রথম ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে মেঘনা কলেজের কলেজের কালচারাল সেক্রেটারি হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে মেঘনার বিয়ে হয় মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্রের সঙ্গে। এবার কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী তিনি। ফলে চর্চাও তুঙ্গে উঠেছে।
আবার খড়দহ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রাথী করা হয়েছে প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে। এই ওয়ার্ড থেকেই গতবার জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন কাজলবাবু। তিনি খড়দহ বিধানসভার বিধায়ক হন। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন। তখনই প্রায় ঠিক হয়ে যায় পুরসভা নির্বাচনে নন্দিতা সিনহাকে প্রার্থী করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা নিয়ে গতকাল থেকে বিস্তর ঝামেলা শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। তার মধ্যে এই ক্ষোভ–বিক্ষোভ বড় আকারে দেখা গিয়েছে। সেই ক্ষোভ প্রশমন করে ভোট করানোই এখন চ্যালেঞ্জ শাসকদলের কাছে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি।