একুশে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল— শাসকদলের সভা, মিছিলে এ কথা শোনা গেলেও এবার এই দাবি করা꧟ হল গেরুয়া শিবিরের সভামঞ্চ থেকে। সৌজন্যে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যাওয়া প্রাক্তন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের এক সভায় জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২০২১–এ তৃণমূলের সরকার গঠন হলে রাজ্যে এবং কেন্দ্রে একই সরকার হবে। আর একই সরকার হলে আপনাদের ঘরে ঘরে উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাবে।’
আর তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিজেপি–র অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তাই বিজেপি কর্মীদের একাংশের কটাক্ষ, আগের দলকে এখনও ভুলতে পারেননি সুনীলবাবু। তাই মু🍷খ ফসকে তৃণমূল বেরিয়ে গিয়েছে। আর ‘মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া’ সুনীল মণ্ডলের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। মঙ্গলকোটের তৃণমূল ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘বিজেপি–র নেতাই বলে দিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে, এর পর আর কী বলব।’
কিন্তু হঠাৎ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার কথা কেন বলতে গেলেন নব্য বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল? তিনি এ ব্যাপারে ভুল স্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘এই বক্তব্যের জন্য দুঃখিত। ভুল করে বলে ফেলেছি। সরকার গড়বে বিজেপি।’ সুনীল মণ্ডলের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেছেন, ‘উনি হয়তো বিজেপি–র কথা বলতে গিয়ে ভুল করে তৃণমূল বলে ফে💫লেছেন।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল ও অন্য দল ছেড়ে ইতিমধ্যে বিজেপি–তে গিয়েছে একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, ꦡবিধায়ক। আর তাঁদের নিয়ে পদে পদে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। একদিকে যেমন তাঁদের ঘিরে দলের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। তেমনই শনিবারের ঘটনার মতো কখনও কখনও বিজেপি–র মঞ্চ থেকে পুরনো দলের নামে স্♉লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
পাশাপাশি শনিবার মঙ্গলকোটের এই সভা নিয়ে আর এক 🎐বিতর্ক দেখা দেয়। রীতিমতো সঙ্ঘর্ষের চেহা🦹রা নেয় সভামঞ্চ সংলগ্ন এলাকায়। সভায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আসার কথা থাকলেও তিনি সেখানে আসেননি। এর জেরে ক্ষোভে জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে মারতে উদ্যত হন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ কোনওমতে কৃষ্ণ ঘোষকে গাড়িতে তুলে বের করে দেয়। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সুনীল মণ্ডলকে।
পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী রাজু রাজবংশী। তাঁর অভিযোগ, ‘২০১৭ সাল থেকে শুনে আসছি রাজ্য স্তরের বড় ন꧂েতা আসবেন। সে জন্য আমাদের থেকে অনেকবার টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে কোথায়?’