ভোটপ্রচারে শুক্রবার বাংলায় আসেন দেশের প্রতജিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বালুরঘাটে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ উপলক্ষে নির্বাচনী জনসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য🦂ায়কে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যের শাসকদলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের পাল্টা হিসেবে এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বড় খেলা হবে’। তাঁর কথায়, ‘এবার ভোটে বাংলায় শান্তির খেলা হবে। উন্নয়নের খেলা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ 🌼করে এদিন বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং বলেন, ‘৬–৭ বছর আমাদের ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। কয়েক হাজার কর্মী আহত হয়েছেন।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘এই রাজ্যে কি মা–মাটি–মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই? আইনশৃঙ্খলা কি রাজ্যের দায়িত্ব নয়?’
‘তোষণের রাজনীতি’র প্রতিবাদ করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘তৃণমূল মানুষের ওপরে রাজনꦬীতিকে স্থান দিয়েছে। সে কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্যে কার্যকর করা হয় না।’ তাঁর আশ্বাস, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে ধর্ম বা জাতি নয়, ন্যায় ও মানবিকতার ভিত্তিতে সরকার চালাবে বিজেপি। সরকারের লক্ষ্য হবে, সবার জন্য ন্যায়। কাউকে তোষণ করা হবে না। বিজেপি সরকার কোনও জাতি বর্ণ দেখে উন্নয়ন করে না।’
দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এদিন আশ্বাস দেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ২ বছরের বকেয়া–সহ বর্তমান বছরের টাকাও দেবে।’ এদিন রাজনাথ সিংয়ের পাশাপাশি বাংলায় আসেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়ায় স্কুটি চালিয়ে একটি রোড–শো করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি 𝓡সাংসদ রূপা গঙ্⛎গোপাধ্যায়, বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ।
এদিকে,🤡 রাজনাথ👍 সিংয়ের সঙ্গে এদিন ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু–সহ অন্য বিজেপি নেতারা। উল্লেখ্য, শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে মোট ৮ দফায় ভোটগ্রহণ হবে।