বিয়ে করতে না করতেই চরম ট্রোলে ছোট পর্দার দুই মুখ অভিষেক বসু ও শার্লি মোদক। অতীতে একাধিক সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা, এমনকী বিয়ের কথা অবধি গড়ায়। তবে পরিণতি পাওয়ার আগেই থেকে যায় পথ চলা। কিন্তু শার্লির ক্ষেত্রে যদিও তা হয়নই। বরং, সকলকে চমকে দিয়ে, একেবারে লুকিয়েই হয় বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনা।
জি বাংলার 'ফুলকি' ধারাবাহিকে অভিনয় করতে করতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন অভিষেক-শার্লি, যদিও আগে কখনওই স্বীকার করেননি তাঁরা। বিয়ে করার পর থেকেই, নব দম্পতি চরম ট্রোলে। তবে বউয়ের কোনো অপমান যে মানবেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা দিয়ে।
অভিষেক ইনস্টা স্টোরিতে তাঁর আর শার্লির বিয়ের ছবি দিয়ে লিখলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার জন্য মরতে পারি। তোমার জন্য মারতে পারি। তোমার জন্যই আমার বেঁচে থাকা। তোমারই থাকব সারা জীবন।’

‘তোমার দিকে আসা প্রতিটা বাজে জিনিস আগে আমার সঙ্গে মোকাবিলা করবে। তুমি আমার, তুমি আমার আত্মা @শার্লি মোদক। তুমি আমাকে এই দুনিয়ার সব নেতিবাচকতা থেকে বাঁচিয়েছ। ভগবানের নামে শপথ করে বলছি, যে বা যারা তোমার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, আমার কোপে পড়বে। আর সেটা খুব সহজ বা সুখকর হবে না।’, আরও লেখেন অভিষেক।
সবশেষে নতুন বউয়ের উদ্দেশে ফুলকির রোহিত স্যারের বার্তা, ‘এক কথায় তুমি আমার জীবন, আমার বউ, আমার লাইফ লাইন, আমার সব কিছু।’ আর ছিল অনেক গুলো রেড হার্ট ও হাত জোড় করার ইমোজি।
‘ফুলকি’ ধারাবাহিক যেখানে শুটিং হয় সেই স্টুডিওর ঠিক উল্টো দিকের একটি ক্লাবেই এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এসেছিলেন মিশমি দাস, অনিন্দিতা-সুদীপ, ফুলকির পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ-সহ অনেক পরিচিত মুখ।
একাধিক প্রেম সম্পর্কে ছিলেন অভিষেক। নিন্দুকদের দাবি, একটার পর একটা প্রেম এসেছে অভিষেকের জীবনে। দীর্ঘ সময় প্রেম করেন দিয়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই বিচ্ছেদ হতে না হতেই গঙ্গারামের সহ-অভিনেতা সুরভী মল্লিকের সঙ্গে প্রেম। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের কথাও ছিল সুরভী আর অভিষেকের। কিন্তু ভেঙে যায় তা। ২০২৪ সালের নভেম্বরে শার্লির সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে সম্পর্কের আভাস দিয়েছিলেন খোদ অভিষেকই। সেইসময় ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শার্লিকে ট্যাগ করে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘২০২৪ আমাকে তোমায় দিয়েছে, তাই এই বছরটাকে আমি মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি’।
কিন্তু তারপর হাজারও প্রশ্নে রা কাটেননি কেউই। বরং, প্রেম আছে কি না জিজ্ঞাসা করলেই, দাবি আসত, ‘ভালো বন্ধু’।