নাম না নিলেও নতুন প্রেমের কথা মেনে নিয়ে আলিয়া বলেন, ‘উনি একজন দারুণ মানুষ, ভীষণই ভালো। আমি ওঁর বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। শুধু মাত্র অর্থই সুখ আনতে পারে না। উনি আমাকে শ্রদ্ধা করেন। তবে উনি এদেশীয় নন, ইতালির, আমাদের দুবাইতে আলাপ হয়। আমরা অনেক দিনের বন্ধু। উনি আমাকে যথেষ্ঠ সম্মান দেন।’
বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেম নওয়াজ 'বেগম' আলিয়ার
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন আলিয়া। তবে তারই মাঝে দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানির দায়িত্ব আপাতত দুজনেই মিলেই পালন করছেন নওয়াজ ও আলিয়া। তবে নওয়াজের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে আইন বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেমের ইঙ্গিত দিলেন নওয়াজ ‘বেগম’ আলিয়া সিদ্দিকি।
তবে নওয়াজকে ভুলে এখন কার সঙ্গে প্রেম করছেন আলিয়া? নাহ সেই ব্যক্তির বিষয়ে অবশ্য কোনও কিছুই জানা যায়নি। আপাতত তিনি ‘রহস্যময়’ কোনও ব্যক্তি। এদিকে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আলিয়া সিদ্দিকি ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘হ্য়াঁ, আমরা দুজনেই এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে গিয়েছি, এখন বরং আমরা বন্ধু। আমাদের মধ্যে আর কোনও প্রতিশ্রুতি এখন নেই। এখন আমি আমার মতো জীবন কাটাতে পারি, আমি আমার বাচ্চাদের সঙ্গে রয়েছি, ওদের কোনও সমস্যায় পড়তে দিতে চাই না। বরং এই সম্পর্কটাই বেশী সম্মানীয়। বিচ্ছেদ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আসলে এটা অভ্যাস, আপনি যদি ভালো কিছুও করেন, তাহলেও মানুষ আপনাম মধ্য খারাপটাই খুঁজবেন।’
নাম না নিলেও নতুন প্রেমের কথা মেনে নিয়ে আলিয়া বলেন, ‘উনি একজন দারুণ মানুষ, ভীষণই ভালো। আমি ওঁর বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। শুধু মাত্র অর্থই সুখ আনতে পারে না। উনি আমাকে শ্রদ্ধা করেন। তবে উনি এদেশীয় নন, ইতালির, আমাদের দুবাইতে আলাপ হয়। আমরা অনেক দিনের বন্ধু। উনি আমাকে যথেষ্ঠ সম্মান দেন।’
এদিকে সম্প্রতি সন্তানদের নিয়ে নওয়াজের দুবাই যাওয়া প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘নওয়াজ সম্প্রতি দুবাই এসেছেন, আমাদের মধ্যে বিষয়টা মিটে গিয়েছে। ওঁর সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে, বাচ্চারা এখানেই থাকবে। ওরা খুশি থাকলেই আমি খুশি।’ নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেই নিজের নামের পাশ থেকে সিদ্দিকি পদবী সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান আলিয়া। তাঁর কথায়, আমি আর কারোর পদবী ব্যবহার করব না। আমি আমার নিজের নামটুকুতেই খুশি।
প্রসঙ্গত, এর আগে আইনি লড়াইয়ের সময় নওয়াজের আইনজীবী জানিয়েছিলেন আলিয়া একাধিকবার বিয়ে করেছেন, আর পদবী বদলেছেন।বলা হয়েছিল ২০০১ সালে ক্লাস এইট ফেল আলিয়া বিয়ে করেন বিনয় ভার্গভ নামের এক ব্যক্তিকে। তখন আলিয়ার নাম ছিল অঞ্জলি কুমারী। পরবর্তী সময়ে মুম্বইয়ে আসার পর আলিয়ার নাম হয় অঞ্জলি পাণ্ডে। ২০১০ সালে নাম পাল্টে তিনি হন অঞ্জলি আনন্দ। পরবর্তী সময়ে রাহুল এবং এক ব্যক্তিকে বিয়ে করছিলেন আলিয়া তখন নাম ছিল অঞ্জনা, পরে রাজকুমার শুক্লা নামে এক ব্যক্তিকেও বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের নাকি আইনি বিচ্ছেদ হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন নওয়াজ। আবার পরে নাকি ইসলাম গ্রহণ করে আলিয়ার নাম হয়েছিল জয়নব।