Horogouri Pice Hotel-Menstruation: মেয়েরা প্রতি মাসেই রজঃস্বলা হয়। এটা একটা মাসিক রুটিন নারী শরীরের। কিন্তু সেটাকে রীতিমত ট্যাবু বানিয়ে রাখা হয়েছে সমাজে। এবার সেটার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল স্টার জলসার হরগৌরী পাইস হোটেল।
পিরিয়ডস নিয়ে বিশেষ পর্ব হরগৌরী পাইস হোটেলে
দোকানে স্যানিটারি প্যাড কিনতে গেলে আজও কাগজে মুড়িয়ে বা কালো প্লাস্টিকেই দেবে, কেন? এর উত্তর আজও জানা নেই। মাসিক হলে মন্দিরে ঢোকা বারণ, পুজো দেওয়া যাবে না, ইত্যাদি প্রভৃতি কত নিয়ম। আর বাড়ির কোনও মেয়ে যদি রজঃস্বলা হয়েছেন আজকে এই সময়ে দাঁড়িয়েও প্রকাশ্যে সেটা মোটেই বলা যায় না অনেক সময়ই, বিশেষ করে বাড়ির পুরুষদের ক্ষেত্রে। এটা নাকি লজ্জার বিষয়! এবার এই সমস্ত প্রচলিত ধারণা ভাঙতে বিশেষ পর্ব দেখাল স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হরগৌরী পাইস হোটেল।
কিছুদিন আগেই হরগৌরী পাইস হোটেলে দেখানো হয় শঙ্করের দাদা প্রশ্ন করছেন যে তিনি যখন ছিলেন না তখন কেন এত বাড়তি খরচ হয়েছে? কেন মেয়েদের হাত খরচ দেওয়া হয়েছে? উত্তরে বাড়ির সব মেয়েরাই তাঁর ভয়ে বলেন যে তাঁদের হাত খরচ চাই না। কিন্তু একমাত্র ঐশানী প্রতিবাদ করে। সে বলে মেয়েরা প্রতি মাসে রজঃস্বলা হয়, তার জন্য স্যানিটারি প্যাড প্রয়োজন। সেটার জন্য হাত খরচ দিতে হবে। এটা শুনে তাঁর ভাশুর তো বটেই বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত কানে হাত চাপা দেয়। যেন কীই না লজ্জার কথা। তখন ঐশানীকে বলতে শোনা যায়, 'এটা তো লজ্জার কোনও বিষয় নয়। মেয়েরা রজঃস্বলা হয় বলেই নতুন প্রাণের জন্ম হয়।' সে বোঝায় এটা খারাপ বা নোংরা কোনও বিষয় নয়। এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।