একসময় ‘স্বাভিমান’, 'শক্তিমান'-এর মতো ভারতীয় টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় দুই ধারাবাহিকের দৌলতে অভিনেত্রী কিটু গিদওয়ানি ছিলেন বেশ পরিচিত মুখ। পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন ধারাবাহিক ও ছবিতে অভিনয় করেছেন কিটু। খুব শীঘ্রই OTT-তে কমেডি সিরিজ 'পটলাক-২'-এ অভিনয় করতে দেখা যাবে কিটু গিদওয়ানিকে। পাশাপশি টেলিভিশনের পর্দাতেও আবারও ফিরছেন তিনি। কিটুর কথায়, ‘বড় পর্দা, ওটিটি তাঁকে যেটা দেয়নি, সেটা তাঁকে টেলিভিশন দিয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘এখনও বিনোদন জগতে ৪০-এর পর মহিলাদের আর সেভাবে গুরুত্ব থাকে না। যেটা লজ্জার…’
টলাক সিজন ২ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কিটু বলেন ‘এটা খানিকটা খোলা বাতাসে একটি নিঃশ্বাস’ নেওয়ার মতো।এটি শহরে বসবাসকারী লোকজন এবং তাঁদের জীবন কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে একটি শহুরে কমেডি। এটি খুব হালকা, প্রায় আমেরিকান স্টাইলের কমেডির মতো। অনেক ইম্প্রোভাইজেশন এবং গ্রুপ ইন্টারঅ্যাকশন ছিল। আমার চিত্রনাট্য পড়ে ভালো লেগেছিল। কমেডিতে দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা খুবই কঠিন। তথাকথিত সাসপেন্স দিয়ে দর্শকদের সম্পৃক্ত করা খুব সহজ'। কিটুর কথায়, ‘এই ওয়েব সিরিজে একজন মধ্যবয়সী মহিলার জীবন, তাঁদের জীবনে সঙ্কটকে তুলে ধরা হয়েছে কৌতুকের মাধ্যমে। মহিলারা তাঁদের গোটা জীবনই পরিবারকে দিয়ে দেয়। মাঝবয়সে গিয়েও একজন মহিলা প্রাণবন্ত, প্রাসঙ্গিক, বুদ্ধিমান থাকে। তখনও তাঁদের অনেক কিছু দেওয়ার থাকে।’

কিটু গিদওয়ানি
‘পটলাক-২-র এই প্রসঙ্গ ধরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মাঝবয়সে গিয়ে তাঁকে ব্যক্তিগত জীবনে পরিবারে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে কিনা? সেপ্রসঙ্গে কিটু বলেন, ‘ কেরিয়ারের সুবাদে আমি সবসময় স্পটলাইটে ছিলাম, তাই আমার জন্য এটি কোনও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমি আমার নিজের প্রতি খুব ফোকাস ছিলান এবং আমার কেরিয়ারকে পুরোপুরি উপভোগ করেছি। কখনই স্বামী, সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্যদের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলান না। তাই সামগ্রিকভাবে আমার তুলনা টানলে আপনি এই সমস্যাটা দেখতে পাবেন না।আর আমি যে নতুন করে বিনোদন দুনিয়ায় ফিরছি তা নয়, আমি এর মধ্যেই ছিলাম।’
অভিনয় নিয়ে কিটু বলেন, ‘আমি ২০ বছর বয়সে যে অভিনয় করতাম, তার থেকে এখন অনেক পরিণত অভিনয় করি। তবে মধ্য বয়সী মহিলাদের জন্য চিত্রনাট্য লেখা ভারতে সেভাবে হয় না। ইউরোপ, আমেরিকায় হয়। তবে হ্যাঁ, তুলনামূলকভাবে এখন এই বিষয়টার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে, এখন মহিলারা শুধু মা নন, তাঁরা আজ উদ্যোগপতি, শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, লেখক, ডাক্তার ইত্যাদি। তবে তারপরেও বলব, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি রক্ষণশীল। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তাঁরা কিছুটা হলেও ভীত।’