ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স-ইয়ং লিডারস ফোরামে যোগ দিতে কলকাতায় হাজির করিনা কাপুর খান। আর এখানে এসেই সাম্প্রতিক কালের 'বয়কট বলিউড' ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খুললেন করিনা। সাম্প্রতিক এই ট্রেন্ড নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী।
করিনার কথায়, ‘আমি এই ট্রেন্ড নিয়ে মোটেও একমত নই। সবক্ষেত্রেই যদি এমন হয়, তাহলে আপনারা কীভাবে বিনোদন পাবেন? আপনাদের জীবনে আনন্দ এবং সুখও তো প্রয়োজন। যে বিনোদন দিতে সিনেমা সবসময়ই প্রতিশ্রুতিশীল, যে বিনোদন আমরা সবসময় আপনাদের দিয়ে থাকি, আর সেটা সিনেমার হাত ধরেই ঘটে।’
প্রসঙ্গত, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগে 'বয়কট বলিউড' ট্রেন্ড শুরু হয়। ২০২২-এ মুক্তি প্রাপ্ত 'লাল সিং চাড্ডা', 'লিগার', 'ব্রহ্মাস্ত্র', এবং 'রক্ষা বন্ধন'-এর মতো অনেকগুলি ছবি মুক্তির আগে নেটপাড়ায় বয়কট ট্রেন্ডের মুখে পড়ে। যা বক্স অফিসের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলে। আমির খানের 'লাল সিং চাড্ডা' মুক্তির ঠিক আগে, টুইটার ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ প্রবলভাবে #BoycottLaalSinghCaddha ট্রেন্ড করা তে শুরু করেন। বিভিন্ন ভাবে আমির ও করিনাকে ট্রোল করা শুরু হয়। এমনকি করিনার বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করে তা ভাইরাল করা হয়। এমনকি 'ভারতে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা' নিয়ে আমিরের একটি পুরনো মন্তব্যও ভাইরাল করা হয়। আর এই বয়কট ট্রেন্ডই 'লাল সিং চাড্ডা'র ব্যর্থতার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। পরবর্তী সময়ে ‘লাইগার’, 'ব্রহ্মাস্ত্র'-র সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে।

করিনা কাপুর
আর এবার 'বয়কট বলিউড' ট্রেন্ডের মুখে পড়েছিল কিং খানের 'পাঠান'। ছবির 'বেশরকম রং' গানটি নিয়ে বহু কট্টরপন্থীরাই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি 'বয়কট পাঠান'-এরও ডাক উঠেছিল। তবে সমস্ত বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে নিজস্ব মেজাজেই ২৫ জানুয়ারি আসতে চলেছেন 'পাঠান' শাহরুখ। আর ছবির অগ্রিম টিকিট বিক্রির রেকর্ড বলছে এটি বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিতে চলেছে।
এদিকে সম্প্রতি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিয়েছেন, সিনেমা ও তারকাদের নিয়ে অহেতুক মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তায় খুশি অক্ষয় কুমার থেকে শুরু করে ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক সমিতির (IFTDA) সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত। আক্কির কথায়, ‘কিছু জিনিসের পরিবর্তন হওয়া উচিত, কারণ আমরা অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যাই, তারপর একটা সিনেমা তৈরি হয়। সেন্সর বোর্ডে যাই, সেটা পাস করাই এবং তারপর সেটা নিয়ে যদি কেউ কিছু বলে তাহলে সব গণ্ডোগোল হয়ে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু একথা বলেছেন, সেটা আদপে আমাদের জন্যই ভালো।’
অশোক পণ্ডিত জানান, মোদীর এই বক্তব্য ‘আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে’।