মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ছেড়ে দেন গ্ল্যামার দুনিয়া। অথচ অল্প দিনেই ꦡজুবিলি গার্ল হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। দেন একাধিক ব্লকবাস্টার হিট। মধুবালা বা নার্গিস নন। ভারতের প্রথম মহিলা সুপারস্টার কে ছিল জানেন?
আরও পড়ুন: সা রে গা মা পা শেষ ♌হতেই নতুন শুরুর ঘোষণা ফার্স্ট রানার আপ꧑ ময়ূরীর! এবার কোথায় শোনা যাবে তাঁর গান?
ভারতের প্রথম মহিলা সুপারস্টার কে ছিলেন?
১৯১০ সালে দাদাসাহেব ফালকের হাত ধরে, তাঁরই জন্য ভারতে পথচলা শুরু হয় চলচ্চিত্রের সফর। এরপর ধীরে ধীরে ভারতীয় সিনেমা তাঁর বড় পর্দার আইকনদের পায়। আর গোড়ার দিকে এই সিনে আইকনদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কে এক সায়গল, করণ দেওয়ান, অশোক কুমাꦡর প্রমুখ। আর তাঁদের বিপরীতে প্রথম মহিলা সুপারস্টার হিসেবে জায়গা পাকা করেছিলেন এক কিশোরী। সেই কিশোরীর তৈরি করে যাওয়া রেকর্ড ৮ দশক পর কেউ ভাঙতে পেরেছিল। কিন্তু কে ছিলেন তিনি? মমতাজ শান্তি ছিল তাঁর নাম। ১৯৩৭ সালে পঞ্জাবি ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মমতাজ। এরপর ১৯৪২ সালে তাঁকে প্রথমবারের জন্য প্রধান মহিলা চরিত্রে দেখা যায়। সেই বছরই তাঁর অভিষেক হয় হিন্দি ছবিতে। মাত্র ১৬ বছর বয়স ছিল তাঁর তখন। বসন্ত ছিল তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি। আর তুমুল সাফল্য পায় ছবিটি বক্স অফিসে। টানা ৭৬ সপ্তাহ ধরে চলেছিল ছবিটি। শুধু তাই নয় সেই বছরের সবথেকে বেশি ব্যবসা করা ছবিও ছিল এটি। তারপরের বছরও একই রকম সাফল্য পান মমতাজ এই সিনে দুনিয়ায়। তাঁর সেই ছবি কিসমেত ১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। প্রথম ভারতীয় ছবি যা কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছিল। তারপরই তাঁকে নাম দেওয়া হয় জুবিলি গার্ল। কারণ তাঁর চারটি ছবিই জুবিলি হিট ছিল।
এরপর আগামী♈ কিছু বছরে মমতাজকে ঘর কী ইজ্জত, আহুতি, ইত্যাদির মতো ছবি উপহার দিতে দেখা যায়। তিনি সেই সময়কার সমস্ত প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সবথেকে কম বয়সী অভিনেত্রী ছিলেন তিনি দিলীপ কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।
১৯৪♊০ এর দশকের শেষ দিকে মমতাজ ওয়ালি সাহেবকে বিয়ে করেন। তিনি একজন চিত্র পরিচালক ছিলেন। বিয়ের পরও অভিনয় চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিবার তাঁর কাছে প্রধান হয়ে ওঠে। এরপর ১৯৫২ সালে তাঁরা ঠিক করেন যে তাঁরা পাকিস্তান চলে যাবেন। আর সেই সময়ই শেষ হয়ে যায় মমতাজের কেরিয়ার। যখন অভিনয় জগতকে তিনি বিদায় জানান তাঁর বয়স মাত্র ২৬ বছর। বাকি জীবন তিনি লাহোরে কাটান। ১৯৮৯ সালে মাত্র ৬৩ বয়স মারা যান এই অভিনেত্রী।
মমতাজের ছবি কিসমেত তিন বছর ধরে চলেছিল বড় পর্দায়। এরপর ১৯৭৮ সালে শোলে মুক্তি পাওয়ার পর সেই রেকর্ড ভাঙ্গে। তার আরও পরে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ছবিটি সেই রেকর্ড ভাঙে। ২০২১ সাল পর্যন্ত মমতাজের দুই ছবি বসন্ত ♓এবং কিসমেত ভারতের সবথেকে বেশি বার দেখা ছবির তালিকায় ছিল তাও সেরা ৫০ এর মধ্যে। হ্যাঁ, ৮০ বছর পরেও।