প্রথম সান্যা সাগরকে বিয়ে করেছিলেন প্রতীক প্রতীক বব্বর, ২০২৩ সালে আইনিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দম্পতি। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পর আজ অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন প্রতীক বব্বর। আশ্চর্যজনকভাবে প্রতীকের এই বিশেষ দিনে উপস্থিত হননি বাবা রাজ বব্বর।
প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে গিয়ে একপ্রকার সমালোচনার মুখে পড়ে গেছেন প্রতীক। না, বিয়ে নিয়ে কোনও সমালোচনা তৈরি হয়নি বরং আমন্ত্রিতদের তালিকা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলে। প্রতীকের সৎ ভাই আর্যর দাবি অনুযায়ী, বিয়ের অনুষ্ঠানে বাবা রাজ বব্বরকে আমন্ত্রণ জানাননি প্রতীক।
সম্প্রতি ই টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আর্য বলেছেন, প্রতীক বাবাকে নিমন্ত্রণ করেননি তাতে আমি বিন্দুমাত্র আশ্চর্য হচ্ছি না। গোটা ব্যাপারটায় প্রতীকের কোনও দোষ নেই। আমরা অনুমান করছি, এই ব্যাপারটির পেছনে অন্য একজন রয়েছেন। প্রতীক কোনও পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে চাইছে না, এমনকি ফোন ধরতেও চাইছে না ও।
আর্য আরও বলেন, আমার মা বা বোনকে যদি প্রতীক নিমন্ত্রণ না করত সে ক্ষেত্রে আমরা বিন্দুমাত্র আশ্চর্য হতাম না। বিয়ের মতো এত বড় অনুষ্ঠানে বাবাকে ডাকা উচিত ছিল ওর। তবে প্রতীক খুব ভালো মানুষ, আমার মনে হয় না ও এরকম করতে পারে। বাড়ির কেউ ওকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: অ্যাকশন থ্রিলারে এবার তাপসীর সঙ্গে স্বস্তিকা! কোন ছবিতে দেখা মিলবে তাঁদের?
আরও পড়ুন: জেলে বসেই জ্যাকলিনকে প্রাইভেট জেট উপহার সুকেশের! কী লিখলেন প্রেম দিবসের চিঠিতে?
প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে একটি সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ হয় স্মিতা এবং রাজের। রাজ তখন ছিলেন বিবাহিত। স্মিতার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রাজ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রতীকের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় স্মিতার।
স্মিতার মৃত্যুর কয়েক বছর পর নাদিরাকে বিয়ে করেন রাজ। নাদিরা এবং রাজের দুই সন্তান, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। বাবা এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার সত্বেও আশ্চর্যজনকভাবে নিজের বিয়েতে কাউকে নিমন্ত্রণ করেননি প্রতীক।