সীমা সচদেব 'খান' একসময় এই নামেই তাঁকে চিনতেন বেশিরভাগ লোকজন। সলমন খানের পরিবারের বউমা ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সীমা সাজদেব-কে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সোহেল খান। তবে ২০০২ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি সীমা জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ে তিনি কী ভাবেন এবং এর ফলে তাঁর জীবন কতটা বদলে গিয়েছে। সীমা বলে🍌ছেন, বিয়ের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়া এবং সবকিছু অপর ব্যক্তির উপর ছেড়ে দেওয়া খুব সহজ।
সীমা জানিয়েছেন, বিয়ের পর তিনি অন্যের উপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল🥀েন এবং বিবাহবিচ্ছেদের পর তাঁকে অনেক কিছু সামলাতে হচ্ছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্য বীমা স🅺ংক্রান্ত বিষয়গুলিও রয়েছে।
সীমা সচদেব
সীমা ‘দ্য হিলিং সার্কেল’-কে জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদ তাঁর জীবনের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট প্রমাণিত হয়েছে। সীমা বলেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি অনেক কিছুতে নিজেই চেষ্টা করতে শিখেছেন এবং বিচ্ছ𓆏েদের পরও তাঁকে অনেক কিছু নিজে সামলাতে হচ্ছে। যার মধ্যে অস্ত্রোপচারের স্বাস্থ্য বীমা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিষ্পত্তি করতে হয়েছে তাঁকে। এই সব অভিজ্ঞতা তাঁকে জীবনে এগিয়ে যেতে এবং আত্মনির্ভর হতে শিখিয়েছে। সীমা বলেছেন, আজ তিনি মনে করেন যে তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত হয়েছেন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে উন্নতি করেছেন।
আরও পড়ুন-'খান'🌟 পদবী নামের পাশ থেকে ফেলে দিতে চান ইরফান পুত্র, কিন্ত কেন? নিজেই জানালেন বাবিল
এখন কার সঙ্গে ডেট করছেন সীমা?
ব্যক্তিগত জীবন বদলে যাওয়ার বিষয়ে সীমা বলেছেন, বর্তমানে তিনি একা ডিনার করার থেকে শুরু করে বেড়াতে যাওয়া প্রতিটি ছোট ড় অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তিনি নিজেকে এখন সম্পূর্ণ মনে করেন। সীমা নিজেই নিজের সঙ্গে কাটানো সময়টা উপভোগ করতে শিখেছেন। এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে সীমꦰা এই মুহূর্তে বিক্রম আহুজার সঙ্গে ডেট করছেন। সীমা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন। বলেছেন, তিনি মনে করেন যে সময়ের সঙ্গে তিনি নিজের জীবনকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
বান্দ্রা থেকে ওরলি
এর আগে সীমা ফ্যাবুলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইভসের একটি পর্বে বলেছিলেন, তাঁর বান্দ্রা থেকে ওরলিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে বড় ছেলে নির্বাণ বিশেষ খুশি নয়। সে তার বাবার বান্দ্রার বাড়িতেই বেশি সময় কাটায়। তবে সীমার কথায়, তিনি তাঁর ছোট ছেলে ইয়োহানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে সে আরও বেশি লোকজন ও খেলার সঙ্গী পায়। তবে তিনি যেটা ভেবেছিলেন সেটা ঘটেনি। ছেলেরা এখন তাঁর বাবার বাড়িতেই বেশিꦓ সময় থাকে। প্রসঙ্গত, সোহেলের থেকে আলাদা হওয়ার পরও সীমা শুরুতে সোহেলের বাড়ির কাছাকাছিই একটি বাড়িতে থাকতেন।