আরজি কর মিলিয়ে দিয়ে আম আদমি থেকে তারকা সকলকেই। 'তিলোত্তমা' (নাম পরিবর্তিত) মৃত্যুতে পথে নেমেছেন সকলে। বুধবার মেয়েদের রাত দখলের সময় আরজি করে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, লগ্নজিতা, শোলাঙ্কি রায়, অলিভিয়া সরকার, দুর্নিবার সাহা, মোহর সেন, রণজয় বিষ্ণু, তথাগত মুখোপাধ্যায়, উষসী রায়, মধুরিমা গোস্বামী, কিঞ্জল নন্দা, লগ্নজিতা চক্রবর্তী-সহ বিনোদন জগতের আরও অনেকেই।
বৃহস্পতিবার উত্তাল RG-করে পৌঁছে সৃজিত, সোহিনী, বিদীপ্তারা প্রশ্ন তোলেন, ‘মেয়েদের রাত দখলের অভিযানের সময় হাসপাতালে ভাঙচুর করা হল কেন?’ টলিপাড়ার এই শিল্পীদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, 'হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যে তাণ্ডব চলেছে, তাতে বহু যন্ত্রপাতি, রোগীদের বেড ভাঙা হয়েছে। এবার পুজোয় ক্লাবগুলিকে টাকা না দিয়ে, সেই অর্থে যেন হাসপাতাল সারানো হয়।'
এদিকে আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। আর কোনও মধ্যস্থতায় যেতে চান না তাঁরা। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমদিনের থেকে দ্বিতীয় দিনের জমায়েত অনেকটাই যেন স্থিমিত। দুই প্রজন্মের অভিনেতা, পরিচালক, সঙ্গীতশিল্পী, বিক্ষোভরত চিকিৎসক, খ্যতনামা সাংবাদিক ছাড়া আর কারোর উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি। এবিষয়ে সোলাঙ্কি রায়, মেঘলা দাশগুপ্ত বলেন, আগের দিনের মতোই উত্তাল সমুদ্র আশা করেছিলাম, তবে এসে দেখছি অনেকটাই যেন থিতিয়ে পড়েছে। একের পর এক অঘটন, প্রতিবাদ, পরের বছর, আবার সেই একই ঘটনা, আমরা বুঝতে পারছি না এর শেষ কোথায়? পথে নামাই কি সার!'
সুজয় প্রসাদের কথায়, ‘এই শহরে মেয়েদের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে জানি না, তব এই প্রতিবাদে রাজ্য সরকার একটু হলেও নড়েচড়ে বসেছে।’ এদিন সোহিনী সরকার বলেন, ‘১৪ অগস্ট বুধবার, যাদবপুর বাসস্ট্যান্ডে মেদিনীপুর থেকে এক মা এসেছিলেন। যাঁরা মেয়ে বছর দুই আগে ধর্ষণের শিকার হন। সেই মামলা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। তাই সেই মায়ের আশা, এই আন্দোলন যদি তাঁর মেয়েকেও সুবিচার পাইয়ে দেয়।’ একসঙ্গে সোহিনী তাঁর সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ করেন, ‘তাঁরা যেন আন্দোলনকে সঠিক ভাবে তুলে ধরেন। এই প্রতিবাদ শুধুই যেন তারকাদের প্রচার না হয়ে ওঠে। সোহিনীর কথায়, ’এর শেষ কোথায় জানা নেই। শুধু এই নৃশংস অত্যাচারের শেষ চাই।'
প্রসঙ্গত আর জি কর কাণ্ডের জেরে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে বিনিদ্ররজনী কাটাচ্ছেন তারকারা। বাংলাদের মেয়ের সঙ্গে প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্তও।