বাকি নেই আর ১ মাস! খবর জানুয়ারির ১৯ তারিখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য আর রুবেল দাস। তাঁদের ভালোবাসার পূর্ণতা পাওয়ার সময় চলেই এল অবশেষে। রুবেল ও শ্বেতার বিয়ে নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত তাঁদের অনুরাগীরাও। সেরকমই একটি বিশেষ মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
আইবুড়়ো ভাতের ছবি শেয়ার করলেন শ্বেতা। যেখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অভিনেত্রীকে খাওয়ানো হচ্ছে তাঁর ড্রেসিং রুমেই। কোন গোপনে মন ভেসেছে-র শ্যামলীর লুকেই দেখা পাওয়া গেল তাঁর। অভিনেত্রীকে খাওয়ালেন তাঁর কিছু অনুরাগী। শুধু তাই নয়, একটি সিল্কের লাল-কমলা শাড়িও দিয়েছেন উপহারে। একেবারে ফোঁটা দিয়ে, আশীর্বাদ করে সমস্ত নিয়ম মেনে খাওয়ানো হয় আইবুড়ো ভাত।
খাবারেরও ছিল নানা রকমের পদ। ভাত, নানা রকমের মাছ, দই, পায়েস, চাটনি, মিষ্টি। অনুরাগীর কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেয়ে রীতিমতো অভিভূত শ্বেতা। তিনি ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আইবুড়োভাত। একজন অচেনা মানুষ শুধুমাত্র আমার কাজ ভালোবেসে, আমাকে মন থেকে বোন মেনে, সমস্ত কিছু আয়োজন করে, শ্যুটিং ফ্লোরে এসে আমাকে খাইয়ে গিয়েছেন। থ্যাঙ্ক ইউ দিদি। আপনি খুব ভালো থাকুন। আর আমাকে এভাবেই আশীর্বাদ করুন।’
এই পোস্টে আবার আরেক অনুরাগী মন্তব্য করেন, ‘আমার পক্ষে যদি সম্ভব হত, তাহলে আমিও ওখানে গিয়ে তোমাকে খাওয়াতাম। কিন্তু আমি তো থাকি শিলিগুড়িতে। তবে আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব যাতে তুমি আর রুবেলদা ভালো থাকো। আমি তোমাদের দুজনের খুব বড় ভক্ত’। আর এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে শ্বেতা লিখলেন, ‘প্রার্থনা করুন, তাহলেই হবে’।
ডিসেম্বর মাসেই সমস্ত নিয়ম মেনে আশীর্বাদ হয় রুবেল ও শ্বেতার। যা নিয়ে অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মনে মনে আমরা অনেকদিনই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী ভেবে নিয়েছি। ….আশীর্বাদও হয়ে গেল। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপর একসঙ্গে থাকা শুরু’।
‘যমুনা ঢাকি’র সময় অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন শ্বেতা। সেটা ছিল ৯ বছরের সম্পর্ক। তবে তাতে ধোঁকা পান। এরপরই ভালোবাসা হয় সিরিয়ালের নায়কের সঙ্গে। তবে এবার আর মাঝপথে যাবে না কেউ ‘হাত ছেড়ে’, এবার হাত ধরে সোজা বিয়ের মণ্ডপে। আর সাত জন্মের জন্য এক হয়ে যাওয়া।
জানা যায়, শ্বেতা-রুবেলের প্রেমের তার জুড়ে দেন নায়িকার মা। শ্বেতাকে আশ্বস্ত করেন, ‘এই ছেলেটা তোকে ভালো রাখবে’। এমনকী, রুবেলে পরিবারও দু হাত খুলে স্বাগত জানায় তাঁদের হবু বউমাকে।