খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র ‘সোধি’কে। গত ১১ দিন হল কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি অভিনেতা গুরুচরণ সিং-এর। বেশকিছুদিন আগ📖েই ছেলের খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন অভিনেতার বাবা গুরুচরণ সিং। তিনি ২৬ এপ্রিল পুলিশকে জানিয়েছিলেন ‘আমার ছেলে গুরুচরণ সিং, বয়স ৫০। ২২ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটায় মুম্বই যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল।﷽ তিনি ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। তবে আর মুম্বই পৌঁছননি। গত ৪দিন ধরে তিনি নিখোঁজ। তার ফোনও পাওয়া যাচ্ছে না।’ এরপর ১১ দিন কেটে গেলেও অভিনেতার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে গুরুচরণ সিং-এর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই তদন্তে পুলিশ জেনেছিল, গুরুচরণ সিং পালাম অঞ্চল থেকে ৭০০০ টাকা তুলেছিলেন। সবকিছু দেখে পুলিশের অনুমান, অভিনেতা তাঁর নিজের স্বার্থে অন্তর্ধানের চক্রান্ত তৈরি করেছেন। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে বলেই অনুম𝕴ান।
পুলিশ মনে করছে গুরুচরণ নিজের ফোন পালাম অঞ্চলে রেখে গিয়েছেন। আর তাই অভিনেতাকে খুঁজে বের করা ဣক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ তাঁর ফোন তাঁর সঙ্গে নেই বলেই মনে হচ্ছে। সংগৃহীত একটা সিসিটিভি ফুটেজে অভিনেতাকে দিল্লিতেই ই-রিকশা করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। আর সেকারণেই মনে করা হচ্ছে, অꦜভিনেতা গুরুচরণ সিং কোনও কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই সবকিছুর পরিকল্পনা করেছিলেন, তিন ইতিমধ্যেই দিল্লি ফিরেও গিয়েছেন।'
আরও পড়ুন-'বিদেশে খ🌊েলোয়াড় তৈরি হওয়ার সময় রাষ্ট্র পাশে থাকে, আর এদেশে?' কড়া প্রশ্ন তুলল ‘দাবাড়ু’
এদিকে ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ অভিনেতার অন্তর্ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই 𒊎বেশকিছু গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যাতে জানান যায়, অভিনেতা আর্থিকভাবে সমস্যার মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন এবং শীঘ্রই বিয়ে করার পরিকল্পনাও করেছেন। যদিও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে গুরুচরণ সিং-এর নিখোঁজ হওয়ার খবরে মর্মাহত 'তারক মেহতা কা উল্টা চশমা'র অন্যান্য অভিনেতারা। এবিষয়ে জেনিফার মিস্ত্রি এক সংবাদমাধ্য♏মকে বলেছিলেন, ‘হতে পারে কিছু একটা ভুল বোঝবুঝি হচ্ছে। তিনি যেখানেই আছেন ভালো আছেন। তিনি খুবই ভালো মানুষ এবং আধ্যাত্মিক একটা মানুষ।’ প্রসঙ্গত TMKOC-তে জেনিফারের স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন গুরুচরণ সিং। এছাড়াও সময় শাহ, মনাজ মেওয়াওয়ালা, তনুজ মহাশব্দে এবং অন্যান্য সহ অভিনেতারাও গুরুচরণ সিং-এর নিখোঁজ হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।