হঠাৎ কলকাতার আবহাওয়ায় বড়সড় বদ𒊎ল। এক ধাক্কায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রা কমে গিয়েছে অনেকটাই। গড়ে আপেক্ষিক আর্দ্রতা যেখানে থাকে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে, সেখানে তা নেমে এসেছে ৩০ শতাংশের আশপাশে। মঙ্গলবার অর্থাৎ দোলের দিন কলকাতার সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২৮ শতাংশ। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এমন শুকনো আবহাওয়ার কারণে অনেকেরই অসুস্থতা বাড়ছে। কী কী সমস্যা হচ্ছে তাঁদের? এই সময়ে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসক?
এই সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর কাছে জানতে চাওয়া হ♔লে তিনি বলেন, প্রতি বছরই এই সময়ে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। তাতে অনেকেরই অল্পবিস্তর সমস্যা হয়। কিন্তু এবার হঠাৎ করে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গিয়েছে। এই আচমকা🏅 পরিবর্তনই অনেকের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই সময়ে বেশ কিছুটা সচেতন থাকতে হবে।
(আরও পড়ুন: হোলিতে ভেষজ রঙ ব্যবহারের উ📖পকারিতা কী? কলক💎াতায় ভাইরাল ফিভারের মরশুমে চড়ছে এই রঙের চাহিদা)
কী কী সমস্যা হচ্ছে মানুষের? কারও হাত-পায়ের ত্বক ফাটছে। ⭕কারও বা ঠোঁট ফেটে চৌচির। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে। নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যাচ্ছে, নাকের ভিতরে রক্ত জমে আছে এই সময়ে কী করা উচিত?
চিকিৎসক গোস্বামী বলছেন, ‘এই সময়ে সুস্থ থাকার জন্য কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে༺। শরীরকে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্র রাখাই হচ্ছে একমাত্র রাস্তা।’
কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি:
- দিনে যতটা বেশি সম্ভব জল খেতে হবে।
- একবারে বেশি জল নয়। তাতে কোনও লাভ হবে না। বরং ক্ষতি হতে পারে। আস্তে আস্তে এক-দুই চুমুক করে খেতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খেতেই হবে।
- প্রচণ্ড কড়া রোদও উঠেছে। তাই বাইরে বেরোলে ছাতা নিতে হবে। রোদ থেকে এড়িয়ে লাই ভালো।
- মাঝে সাঝে ডাবের জল, লেবুর জল বা ফলের রস খেতে পারলে আরও ভালো হয়।
তবে কারও কারও সমস্যা মারাত্মক আকার নিচ্ছে। নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। তাঁদের কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক? সুবর্ণ গোস্বামীর কথায়, ‘যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের রক্তপাতের মাত্রা বাড়তে পারে। তাঁদের সাবধানে থাকতে হ🔯বে। প্রথমত, রক্তপাত হলে ওষুধের দোকান থেকে তুলো কিনে তা দিয়ে চেপে রাখতে হবে জায়গাটি। একে প্রেশার প্যাক বলে। দ্বিতীয়ত, এই সময়ে প্রেশারের ওষুধ ভুললে চলবে না। নিয়ম করে খেতেই হবে। তাতেই যদি রক্তপাত না কমে, তাহলে অবশ্যই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
মোট কথা, এই সময়ে শরীর যাতে শুকিয়ে না যায়, তার দিকেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসক। আর বাড়াবাড়ি হলেই সরাসরি কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরা꧋মর্শ নিতে বলছꩵেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। H♛T App ডাউনলোড করার লিঙ্ক