পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Health Tips: আপনিও সারাদিন কাজ করেন অফিসে বসে, এই খেয়াল না রাখলেই রোগের আবাসস্থল হবে শরীর!
আজকের ব্যস্ত জীবনে নিজের যত্ন নেওয়ার সময়টুকুও নেই মানুষের হাতে। স্বাস্থ্যের সঠিক যত্ন নিতেও পারছেন না। এই ডিজিটাল যুগে পৃথিবী হয়তো এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু অফিস হোক বা বাড়ি থেকে কাজ করতে গিয়ে চেয়ারে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ আয় হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শরীরও অনেক রোগের আবাসস্থল হয়ে উঠতে পারে। যদি আপনি প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে বসে থাকেন, এর মাঝে কোনও বিরতি না নেন, তাহলে এটি ꧑অনেক গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: (Airport Theory: ইচ্ছাকৃত ফ꧃্ল🍌াইট মিস! নেটপাড়ায় নয়া ট্রেন্ড এয়ারপোর্ট থিওরি! কী লাভ হয় এতে?)
দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকলে কী কী অসুবিধা হতে পারে
একটানা বসে থাকলে নিম্নলিখিত রোগগুলির ঝুঁকি বাড়ে:
- দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশী শক্ত হয়ে যায়। যার কারণে ঘাড় ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে।
- একই ভঙ্গিতে বসার ফলে কাঁধে শক্তভাব দেখা দেয়। এর ফলে আপনার হাতেও ব্যথা হয়।
- একটানা বসে থাকলে ক্যালোরি পোড়ায় না, ওজনও বৃদ্ধি পায়।
- ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ফলেও ক্লান্তি আসতে পারে।
- যদি আপনি দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকেন এবং কোনও শারীরিক পরিশ্রম না করেন, তাহলে অনিদ্রার সমস্যাও আপনাকে ঘিরে ফেলবে।
- ক্রমাগত চেয়ারে বসে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তখন মানসিক চাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- এর পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, পিঠে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
- রক্ত সঞ্চালনও ঠিকমতো হয় না। রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যেতে পারে।
এই সমস্যা প্রতিরোধের উপায় কী কী
- যদি আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করতে হয়, তাহলে প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অন্তর উঠে হাঁটুন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।
- অফিসেই ছোট ছোট স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করা উচিত। এগুলো পেশীগুলিকে আরাম দিতে কাজ করবে। এটি শক্তভাবও কমাবে।
- কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিতে থাকুন। এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে পারবেন। এর মাধ্যমে স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অফিসের সময় বিরতি নিলে মনও বিশ্রাম পায়।
- শরীরে যেন জলের অভাব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমন পরিস্থিতিতে, মাঝে মাঝে জল পান করতে থাকুন। এটি আপনার বিপাক উন্নত করবে।
- এছাড়াও অফিসে গিয়ে বাইরের খাবার না খেয়ে, বাড়ির খাবার বা আপনার স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া উচিত।