মহাকুম্ভ মেলায় কার্যত মৃত্যুমিছিল। পদপিষ্ট হয়ে একের পর এক পূণ্যার্থীর মৃত্যু। মৌনি অমাবস্যা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন মহাকুম্ভে। প্রচন্ড ভিড়ের চাপে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। আর সেই মৃতদের তালিকায় রয়েছেন মেঘা দীপক হাতারওয়াত। কর্নাটকের বেলাগাভির বাসিন্দা তিনি। এদিকে সেই রাতেই সমাজমাধ্যমে লাইভ করেছিলেন মেঘা। বার বার সতর্ক করেছিলেন এত ভিড়ে আসবেন না। আর সেই জনসমুদ্রের মাঝেই প্রাণ হারালেন মেঘা। যে মেঘা সকলকে সতর্ক করেছিলেন সমাজমাধ্যমে লাইভ করে, সেই মেঘারই প্রাণ গেল মহাকুম্ভে।
সেই মর্মান্তিক ঘটনার কিছু আগে লাইভ করেছিলেন মেঘা। তিনি বলেছিলেন, আমি এখন কুম্ভমেলায়। লাখ লাখ পূণ্যার্থী সঙ্গমস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিপুল জনস্রোতে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল হচ্ছে। আপনারা যদি আসার কথা ভাবেন তা হলে এই মুহূর্তে না আসাই ভালো। আর যদি আসেনও তা হলে পরিবারের সদস্যরা কেউ কারও হাত ছাড়বেন না।
ভিড়ের মধ্যে আসবেন না। পরে আসবেন। এই মুহূর্তে না আসাই ভালো। কেউ কারও হাত ছাড়বেন না। সকলের ভালোর জন্য সতর্ক করেছিলেন মেঘা। কিন্তু তারপরেও মর্মান্তিক ঘটনা। সেই ভিড়ে পড়ে গিয়ে মারা গেলেন মেঘা। তরুণী মেঘা। ঠিক কী হয়েছিল সেই সময় সেটা জানা যায়নি। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে,বেঁচে ফিরতে পারেননি মেঘা। খবর আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মাকে নিয়ে অমৃত স্নানে এসেছিলেন মেঘা। এদিকে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে কুম্ভতে গিয়ে। ভিডিয়ো কলে এমনটাই বলেছিলেন মেঘা। ইচ্ছে ছিল পূণ্য অর্জন করে ফিরবেন মেঘা। কিন্তু ফিরবেন তিনি। ফিরবে তাঁর নিথর দেহ।
সেই রাতেই সঙ্গমস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন মেঘা। সঙ্গে ছিল মা। সেখানে তখন হাজার হাজার মানুষ। সকলেই চাইছেন এগিয়ে যেতে। মেঘা সমাজমাধ্যমে ফেসবুক লাইভ করে সতর্ক করেছিলেন. এখন আসবেন না।
সূত্রের খবর, একটি ট্রাভেল এজেন্সিল মাধ্যমে আরও ১৫জনের সঙ্গে কুম্ভে গিয়েছিলেন মেঘা। ২৫ বছর বয়সি মেঘা। সূত্রের খবর, কুম্ভে যাওয়ার পর থেকেই তাঁরা বাড়িতে ফোন করে উচ্ছাস প্রকাশ করতেন। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। তাদের ফোন বেজে যাচ্ছিল। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পড়ে গিয়ে অথবা ভিড়ে চাপে জখম হয়েছিলেন তারা। পরে মারা যান।