দুই হিন্দু ধর্মাবলম্বী যখন পরস্পরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন সেই বন্ধন 'পবিত্র' হিসাবে গণ্য করা হয়। এবং সেই কারণেই মাত্র একবছরের মধ্যে এই বন্⛎ধন ছিন্ন করা যায় না। যদি না একান্ত অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা ঘটে থাকে! বা কোনও চূড়ান্ত অস্বাভাবিক কোনও বিকৃত রুচির অভিযোগ প্রমাণিত হয়!
এই প্রসঙ্গে এল❀াহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্রা এবং বিচারপতি দোনা𒈔দি রমেশের বেঞ্চ ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ১৪ নম্বর ধারাটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
আদালত উল্লেখ করে, এই ধারা অনুসারে বিবাহিত হিন্দু দম্পতি যদি বিবাহ বিচ্ছেদে যেতেও চান, তার জন্য মামলা রুজু করতে তাঁদের অন্তত একবছর অপেক্ষা করতে হয়। যদি না চরম অস্বাভাবিক বা ব্যতিক্রমী কোনও ঘটনা ঘটে থাকে🃏।
নির্দিষ্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট💝 এই তার পর্যবেক্ষণে উপরোক্ত বিষয়গুলি উল্লেখ করে। সংশ্লিষ্ট মামলাটি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক তরুণ দম্পতি - নিশান্ত ভরদ্বাজ এবং ঋষিকা গৌতম। তাঁরা হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩-বি ধারার অধীনে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন জানান আদালতে।
এর আগে একই আবেদন নিয়ে তাঁরা পরিবার আদালতেও মামলা রুজু করেছিলেন। কিন্তু, সেই মামলা খারিজ করে দেন শাহারানপুরের পরিবার আদালতের মুখ্ඣয় বিচারক। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য যে ন্যূনতম সময় অপেক্ষা করা দরকার, সেটা এই দম্পতি করেননি। তাই তাঁদের আবেদন আদালতের পক্ষে বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
এরপর পরিবার আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন নিশান্ত ভরদ্বাজ। যদিও গত ১৫ জানুয়💎ারি তাঁর সেই আবেদন ফের খারিজ হয়ে যায়।
এই মামলার প্রেক্ষিতে এলাহা🤡বাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ১৪ নম্বর ধারা অনুসারে, বিয়ের পর এক বছর পূর্ণ হলে এই দম্পতি নতুন করে ফের আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করতে পারেন।
একইসঙ্গে, আদালত আরও একটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ ♋করে। তা হল, কেবলমাত্র পারস্প🏅রিক বোঝাপড়া ছাড়া এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্য়ে আর কোনও গুরুতর কারণ দর্শানো হয়নি। অর্থাৎ, তাঁদের মধ্যে এমন কোনও ব্যতিক্রমী সমস্য়া বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, যার জন্য এক বছরের ন্যূনতম সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই তাঁদের বিচ্ছেদের আবেদন আদালত মেনে নিতে পারে।