ভারত থেকে ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকাಌর। বৃহস্পতিবার সেদ্ধ চাল বোঝাই এমভি ভিসিটি ওশান জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। চালের নমুনা পরীক্ষা পরেই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রকেরএক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত টেন্ডারের (প্যাকেজ-০৩) আওতায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল নিয়ে এমপি ভিসিটি ওশান জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। পণ্য খালাস কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি মায়ানমার থেকে ২৩ হাজার ജমেট্রিক টন এবং ভারত থেকে ৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। সেইসময় বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘জিটুজি ভিত্তিতে মায়ানমার থেকে ২৩ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি পিটিভি অ্যারোমা এবং উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি আলফা জাহাজ দুটি যথাক্রমে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরে পৌঁছেছে।'
চাল আমদানির ক্ষেত্রে অন্য দেশের তুলনায় ভারত থেকে চাল কিনতে অনেকটা কম খরচ পড়ে বাংলাদেশের। তথ্য অনুসারে, মায়ানমার থেকে টনপিছু চাল আমদানি করতে বাংলাদেশের খরচ হয় ৫১৫ ডলার। ভারত থেকে আমদানি করতে টনপিছু খরচ ৪৬৭.৭ ডলার। ভিয়েতনাম থেকে চাল কিনতে বাংলাদেশের খরচ হয় ৫২১ ডলার। ফলে অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারত থেকে চাল আমদানি বাংলাদেশের জন্য লাভদায়ক। তাছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভারত থেকে চাল আমদানিতে খরচও তুলনামূলক ভাবে কম হয় বাংলাদে🙈শের।
ভারতের উপর একক ভাবে নির্ভরশীল থাকতে না চাইলেও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভ🌳ারতকে যে প্রয়োজন, তা অনুধাবন করতে পারছে মুহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন। তাই আলু, পেঁয়াজ কিংবা চাল আমদানির জন্য বিকল্প দেশের খোঁজ করলেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অক্ষত রাখতে চাইnaছে তারা।