শেখ হাসিনা আদৌ ফের বাংলাদেশের গদিতে বসবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিগত কয়েকদিন ধরে। দেশত্যাহের পর থেকে বহুদিন নীরব ছিলেন হাসিনা। তবে সাম্প্রতিককালে ভারত থেকেই ইউনুস সরকার এবং জামাত বিরোধী একাধিক মন্তব্য করেছেন হাসিনা। আর এরই মাঝে এবার খুলনার রেল স্টেশনে ভেসে উঠল - 'শেখ হাসিনা আবার আসবে' বার্তা। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, খুলনা রেল স্টেশনের ডিজিটাল বিলবোর্ডের স্ক্রলিংয়ে গতকাল একাধিক বার্তা ভেসে ওঠে - 'ছাত্রলীগ আবার ভয়ঙ্কর রূপে ফিরবে', 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু', 'শেখ হাসিনা আবার আসবে'। (আরও পড়ুন: 'আরজি কর মামলায় আরও জোরালো তথ্যপ্রমাণ সহ সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে CBI')
আরও পড়ুন: 'যতদিন আন্দোলনের চাপ ছিল, তদন্ত সঠিক পথে চলেছিল', বললেন আরজি করের নির্যাতিতার মা
এদিকে এই ঘটনার পরে অনেকে এসে খুলনা রেল স্টেশন অবরোধ করেন। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় রেলওয়ের এক অপারেটরকে। আটক ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন। পরে রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, যে বেসরকারি সংস্থা রেলের এই বিলবোর্ড তৈরি করেছে, তারা ওয়াই–ফাইয়ের মাধ্যমে বিলবোর্ডটি নিয়ন্ত্রণ করত। এই আবহে ফাঁক বুঝে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এদিকে ধৃত আসলাম দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। বিলবোর্ডটি হ্যাক হয়। খুলনা রেলওয়ে থানার ওসি ফিরদৌস আলম খান জানান, আসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: ১২ ডিগ্রির ঘরে কলকাতার পারদ, সাগরে তৈরি নিম্নচাপ, প্রভাব পড়বে বাংলার আবহাওয়ায়?)
আরও পড়ুন: ১৯৭৮ থেকে বন্ধ ছিল দরজা, সম্ভলে সেই মন্দির পুনরায় খুলে দিলেন আধিকারিকরা
আরও পড়ুন: আরজি করের আটতলার ঘর কেন সিল করা হয়েছে? ফের মিলছে রহস্যের গন্ধ
এদিকে বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়েও জামাত এবং ইউনুস সরকারকে আক্রমণ শানান শেখ হাসিনা। তিনি লেখেন, 'আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়।' (আরও পড়ুন: বিচারে বিলম্বের জন্য এবার আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মাকেই দায়ী করলেন কুণাল ঘোষ!)
আরও পড়ুন: অতুল আত্মহত্যা মমলায় গ্রেফতার স্ত্রী নিকিতা, পুলিশের জালে শাশুড়ি-শ্যালকও
আরও পড়ুন: গলফগ্রিনে কাটা মুন্ডু কাণ্ডে মিলল বাকি দেহ, কেন শ্যালিকাকে খুন জামাইবাবুর?
জামাতকে তোপ দেগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, 'জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লিগ সরকারকে হটিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামীসহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনও দিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'