দেশের ১০ শহরকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে চায় কেন্দ্র। তারই মধ্যে একটি হল এই শহর। জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শহরটিতে বদলে যাবে নিয়ম। ভিক্ষা করা হবে অপরাধমূলক। ভিক্ষা দিলেও, যিনি ভিক্ষা দেবেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, নতুন বছর থেকে, ইন্দোরে যারা ভিক্ষা করেন এবং ভিক্ষা দান করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিচ্ছন্ন শহর ইন্দোরকে ভিক্ষুক মুক্ত শহর করতে চলমান অভিযানের তৃতীয় ধাপ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে শহরকে ভিক্ষামুক্ত করতে এটি তাঁদের পরিকল্পনার অংশ। এই মাসের শেষ পর্যন্ত (ডিসেম্বর) ভিক্ষার বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাব। এরপর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে, যদি কেউ ভিক্ষুকদের টাকা দিতে ধরা পড়েন তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হবে। ইন্দোরের জেলা কালেক্টর আশিস সিং ইতিমধ্যেই ভিক্ষা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: (ভিডিয়ো-রিলে নাচতে ব্যস্ত মা, গাড়ির রাস্তায় দৌড়ে গেল শিশু!)
৩৪ শিশু ভিক্ষুককে উদ্ধার করা হয়েছে
জেলা কালেক্টর আরও বলেছেন যে প্রশাসন সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গ্যাংকে খুঁজে পেয়েছে, যারা মানুষকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করে। তিনি আরও বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি করে যাঁদের পেট চলে, তাঁদের অনেককেই সরকার সাহায্য করেছে। উল্লেখ্য, তিন ধাপে শুরু হওয়া অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে উদ্ধার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক বৃদ্ধ ও প্রাপ্তবয়স্কদের উদ্ধার করে উজ্জয়নের সেবাধাম আশ্রমে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৪ শিশু ভিক্ষুককেও উদ্ধার করা হয়েছে। কালেক্টর এখন প্রচারের তৃতীয় পর্ব শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এটি হল 'স্মাইল ইনিশিয়েটিভ'
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ইন্দোর সহ দেশের মোট ১০ শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে (SMILE) স্মাইল উদ্যোগ নামে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। অসহায় মানুষের সহায় হওয়াই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এরই সঙ্গে এই প্রকল্পটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করা, তাঁদের আশ্রয় প্রদান, চিকিৎসা সেবা দেওয়া, কাউন্সেলিং করানো, শিক্ষা-দক্ষতার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় মানুষকে একটি স্থিতিশীল জীবনযাত্রা খুঁজে পেতে সহায়তা করার মতো বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে। রাজ্য সরকার, স্থানীয় সংস্থা এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীগুলি এই প্রকল্প চালায়।
আরও পড়ুন: (পা ফেটে চৌচির? গোড়লি থেকে রক্ত বের হচ্ছে? এই ঘোরয়া টিপসেই দূর হবে সমস্যা)
প্রসঙ্গত, মন্ত্রক বলেছে যে ভিক্ষা করা হল 'দারিদ্র্যের সবচেয়ে চরম রূপ।' এটি আরও উল্লেখ করে যে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য বল প্রয়োগ করে কাজ হবে না এবং সমস্যা সমাধানের জন্য 'দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ' করা জরুরি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, প্রায় ৪.১৩ লক্ষ মানুষ রাস্তায় ভিক্ষা করে জীবনযাপন করেন। এর মধ্যে ৩.৭২ লক্ষ লোক অন্য কোনও কাজ করেন না এবং প্রায় ৪১,৪০০ জন টুকটাক অন্যান্য কাজ করেন।