শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। এছাড়াও বহু অভিযোগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদেরও লেনদেনের নথি তলব দুদেকের (Photo by KIMIMASA MAYAMA / POOL / AFP)
শেখ হাসিনা সহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যদের দেশ ও বিদেশে লেনদেন নিয়ে এবার কোমর কষতে শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশে ইউনুস প্রশাসনের আমলের দুর্নীতি দমন কমিশন। তারা, শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজিদ, হাসিনার বোন রেহানা ও হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকির দেশ বিদেশের লেনদেনের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করে বাংলাদেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিটের কাছে একটি চিঠি পাঠায়।
সদ্য চলতি বছরের ৫ অগস্ট ছাত্র-জন আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তিনি সেদেশ ও মসনদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সঙ্গে আসেন তাঁর বোন শেখ রেহানা। এদিকে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব থাকেন আমেরিকায়। হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকি লন্ডনের তাবড় রাজনীতিবিদ। এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন,সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাঙ্কের হিসাব সহ সব অ্যাকাউন্টের খতিয়ান চেয়েছে বলে খবর। এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র রিপোর্ট বলছে, মঙ্গলবার, আট প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকার দুর্নীতি কমিশন। উল্লেখ্য, এই একাধিক প্রকল্পে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্তও। রিপোর্ট বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্পের বাস্তবায়নের আড়ালে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত রবিবার, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। এরপর ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঘিরে শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজিদ, হাসিনার বোন রেহানা ও হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ র মধ্যে রূরপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প সহ ৯ টি প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটির দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কমিশন।