ইনস্টাগ্রামে সামান্য বচসা। আর সেই রাগের বশে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে এক যুবককে ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর একজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার সেক্টর ৫৩-এ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, শহরের রাস্তায় ক্রমাগত হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের।
পুলিশ সূত্রের খবর, অনলাইনে বচসার জেরেই এই ঘটনার সূত্রপাত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কমেন্ট করা নিয়ে সেক্টর-২৪ থানার অধীনে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এডিসিপি সুমিত কুমার শুক্লা জানিয়েছেন, উভয় পক্ষই একে অপরকে চিনত। ইনস্টাগ্রামে কমেন্ট করা নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় এবং শেষপর্যন্ত তা রাস্তায় সংঘর্ষের রূপ নেয়।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক যুবক হাতে ইট নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার কপালে আঘাত রয়েছে এবং তা থেকে রক্ত পড়ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি দ্রুতগামী থর গাড়ি তাকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা দেয়। এরপরেই ওই যুবক সোজা একটি ড্রেনে গিয়ে পড়ে যায়। এই ঘটনার পর এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত যুবকের নাম সৌরভ।
আরও পড়ুন-‘ভারতের রাষ্ট্রভাষা কী?’ কেন্দ্র-DMK সংঘাতের মাঝে স্পেনে ঠান্ডা মাথায় ধারালো জবাব কানিমোঝির
সৌরভ জানিয়েছে, সে এবং তার ভাই সুমিত কাঞ্চন জঙ্গা বাজার হয়ে মলের দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝরাস্তায় আকাশ আওয়ানা, আমান আওয়ানা, গৌরব চৌহান এবং কুণাল চৌহান তাদের আটকায় বলে অভিযোগ। এরপর তাদের উপর হামলা করে এবং থর দিয়ে তাদের ধাক্কা দেয়। জানা গিয়েছে, সৌরভ এবং সুমিত ব্যবসায়ী। তাঁরা সেক্টর-৪৯-এর বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, থর চালক ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে ওই যুবককে ড্রেনে ফেলে দেয়। এরপর গাড়ি-সহ চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-‘ভারতের রাষ্ট্রভাষা কী?’ কেন্দ্র-DMK সংঘাতের মাঝে স্পেনে ঠান্ডা মাথায় ধারালো জবাব কানিমোঝির
ইতিমধ্যে সেক্টর-২৪ পুলিশ বেপরোয়া গাড়ি চালানো, আঘাত করা এবং ভয় দেখানোর জন্য একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে।এডিসিপি জানিয়েছেন, 'অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ একটি দল গঠন করেছে। এছাড়াও সেক্টর-২৪ পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে।' অন্যদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা রাস্তায় এই ধরণের নির্লজ্জ কাজ রুখতে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।