ভারতে কংগ্রেস এখন প্র🐓ধান বিরোধী দল। প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে চলেছে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি ভেদাভেদের মতাদর্শ বলে আগে বহুবার তোপ দেগেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। এনডিএ সরকার যে দেশের সংবিধান মানে না সেটাও তাঁর কণ্ঠে একাধিকবার শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিদেশ সফরে গিয়ে থাকেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এই আবহে রবিবার আমেরিকার বস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এখানের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কথা আছে রাহুলের। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন কংগ্রেস সাংসদ। আর প্রবাসী ভারতীয় কয়েকটি সংগঠনের সদস্য, কর্তা এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করার কথা আছে রাহুলের।
এবারের আমেরিকা সফর রাহুল গান্ধীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভারতে বলা হয়েছে, মোদী–ট্রাম্পের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রচার করা হয়। সেখানে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারতকে কার্যত চাপে ফেলেছে। সেখানে রাহুল গান্ধী মার্কিন মুলুকে গিয়ে কোন বার্তা দেন সেটাই দেখার। ২০২৪ সালেও তিন দিনের জন্য আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আর রাহুল গান্ধীর এই সফর নিয়ে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘রাহুল গান্ধী ২১ এবং ২২ এপ্রিল আমেরিকার রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্বꦇবিদ্যালয় পরিদর্শন করব🌞েন। তিনি একটি বক্তৃতা দেবেন। আর সেখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
আরও পড়ুন: আইআইটি খড়্গপুরে উদ্ধার পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ, নেপথ্যে কি র্যাগিং? তদন্ত শুরু পুলিশের
বিদেশের মাটিতে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফর করেছেন। তাতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে বলে বারবার দাবি করা হয়েছে। ২০২৪ সালে যখন আমেরিকা সফরে রাহুল গিয়েছিলেন তখন ভারতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিল করা নিয়ে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক বাতাবরণ সরগরম হয়ে উঠেছিল। এবার রাহুলের হাতে একাধিক ইস্যু রয়েছে। সেটি ওয়াকফ আইন থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন, হিংসা, বিভেদের রাজনীতি, বেকারি–সহ নানা ইস্যু রয়েছে। এমন কোনও বিষয় নিয়ে রাহুল বার্তা দিলে সেটা হবে বড়♚ খবর।