বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রথা মেনে কনে এই বিয়েতে রাজি কি না তা জানতে চাইলে তিনি বাবার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। এর ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ও অন্যান্যরা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে দেন ফারজানা।
প্রতীকী ছবি।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় বিয়ের আসরেই বাবার গলায় ছুরি চালালেন মেয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বিয়েবাড়ি ছেড়ে পালান বরযাত্রীরা। এই ঘটনায় কনেসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনা বাংলাদেশর রংপুরের পিরগাছার। অভিযোগ, বিয়ের আসরে বাবা ফজল হক (৪০)-এর গলায় ছুরি চালান মেয়ে ফারজানা আখতার (২২)। গুরুতর আহত ফজল হককে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রংপুর রেঞ্জের পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফজল হকের বড় মেয়ে ফরজানার সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের পরিণয় অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল বরযাত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রথা মেনে কনে এই বিয়েতে রাজি কি না তা জানতে চাইলে তিনি বাবার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। এর ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ও অন্যান্যরা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তখন ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে দেন ফারজানা।
সঙ্গে সঙ্গে ফজল হককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে জান উপস্থিত আত্মীয়রা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ককে স্বীকৃতি না দিয়ে সরকারি চাকরি করা যুবকের সঙ্গে তাঁকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা। এতেই ক্ষুব্ধ হন ফারজানা।