কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে এবং সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পণ্য ও পরিষেবা কর কাউন্সিলের বৈঠক হল শনিবার। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বাণিজ্যিক সংস্থার দ্বারা ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যানবাহনের মার্জিন মূল্যের উপর ১৮ শতাংশ কর ধার্য হবে এবার থেকে। ৫৫তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর নির্মলা সীতারামন বলেন, সমস্ত ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে করের হার বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যানেল। ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্যের মধ্যে পার্থক্যের (ডেপ্রিসিয়েশন দাবি করা হলে অবচয় মূল্য) ওপর সেই জিএসটি ধার্য হবে। (আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে 'রেড নোটিশ' জারি ইন্টারপোলের, এবার কী হবে?)
আরও পড়ুন: ২ কেন্দ্রে ভোটার লিস্টে নাম আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গির! চোখ কপালে গোয়েন্দাদের
তবে ব্যবহৃত ইভি ব্যক্তিগত ভাবে বিক্রি করা হলে তাতে জিএসটি ধার্য করা হবে না। যদিও এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী নেতারা। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার শুধু 'ধনীদের' জন্যে কাজ করছে এবং মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন 'ভেঙে' দিচ্ছে। এই নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য গাড়ি কেনা একটি বড় বিষয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার পুরানো গাড়ির উপরও কর বাড়িয়ে তাদের স্বপ্নকে চূর্ণ করছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুধু ধনী ও শিল্পপতিদের জন্য কাজ করছে। এরা কেবল মুদ্রাস্ফীতি, কর এবং দেশের সাধারণ মানুষ এবং দরিদ্রদের যন্ত্রণা প্রদান করছে।' (আরও পড়ুন: হাসিনা জমানায় 'গুম কাণ্ডে' ভারত যোগ? চাঞ্চল্যকর দাবি ইউনুসের তদন্ত কমিশনের)
আরও পড়ুন: বিধি বদল কমিশনের, ভোটের বৈদ্যুতিন নথি আর হাতে পাবে না জনসাধারণ, কী বলল কংগ্রেস
অখিলেশ যাদবও কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, 'জিএসটি 'সাপ এবং মইয়ের' খেলায় পরিণত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'বিজেপি জিএসটিকে সাপ-মইয়ের খেলায় পরিণত করেছে। কখনও তারা হঠাৎ করে কিছু পণ্যের উপর জিএসটি বাড়িয়ে দেয়, কখনও তা কমিয়ে দেয়। তাদের সমর্থকদের মুনাফা করার জন্য তারা এই সব কাজ করে। এর ফলে সৎ ব্যবসায়ী ও আধিকারিকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যার সুযোগ দুর্নীতিগ্রস্তরা নেয়।' তিনি আরও বলেন, 'ব্যবসায়ীদের বলতে শোনা গিয়েছে যে বিজেপি বারবার জিএসটি হার পরিবর্তন করে অনিশ্চয়তার পরিবেশ বজায় রাখতে চায়, যাতে তারা ছোট ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পেতে থাকে। তাই ব্যবসায়ীরা যখনই জিএসটি নিয়ে একটা জিনিস বুঝে ফেলেন, ততক্ষণে সরকার নিয়ম বদলে ফেলে।'