মোষ এবং বুলবুলের লড়াইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। গত বছর অসম সরকারের জারি করা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) বাতিল করে এই নির্দেশ দিয়ౠেছে আদালত। পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালসের (পিইটিএ) দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি দেবাশিস বড়ুয়া এই নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অসম সরকার গত ব♒ছরের ২৭ ডিসেম্বর এসওপি জারি করে জানুয়ারিতে মাঘ বিহু উৎসব উদযাপনের সময় মোষ এবং বুলবুল পাখির লড়াইয়ের অনুমতি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুরুল্যায় কাড়া লড়াই দেখতে গিয়ে মৃত ১
পিইটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, এই লড়াইয়ের জন্য পশুপাখিদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। মোষগুলিকে নির্মমভাবে মারধর করে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়। আর বুলবুলগুলিকে লড়াইয়ের জন্য ক্ষ♛ুধার্ত রাখা হয়।🤪 এমনকী লড়াইয়ের জন্য তাদের নেশাগ্রস্ত পর্যন্ত করা হয়। এরফলে খাবারের জন্য পাখিদের মধ্যে লড়াই করানো হয়। এগুলি খুবই নির্মম অত্যাচার।
পিইটিএর তরফে দাবি করা হয়, এসওপিতে শুধু জানুয়ারিতে নির্দিষ্ট উৎসবের সময় লড়াইয়ের কথা বলা হলেও অন্𓆏যান্য🃏 সময়েও অবৈধভাবে এই সব লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এরজন্য একাধিক তথ্য আদালতে পেশ করে সংস্থাটি। তাদের বক্তব্য, এই এসওপির ফলে পশুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে অসমে।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোষ এবং বুলবুলের লড়াই দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট ১৯৬০ এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলিকে লঙ্ঘন করে। মোষের লড়াই অসমীয়া ভাষায় ‘মোহ-জুজ’ নামে পরিচিত। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই লড়াই জনপ্রিয়। প্রতি বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মাঘ বিহু উৎসবের সময় এই লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১৬ সালে সুপ🦋্রিম কোর্ট সারা দেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবগুলি♎তে পশুদের লড়াই নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভা মারিগাঁও জেলা, নগাঁও জেলা বা অসমের অন্য জায়গায় মাঘ বিহুর সময় ঐতিহ্যবাহী মোষ এবং ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করার অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি এসওপি জারি করেছিল। এসওপিতে বলা হয়েছিল পশুদের উপর কোনও 🥂ইচ্ছাকৃত অত্যাচার বন্ধ করা। উল্লেখ্য, এই লড়াই ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এবং এটি অসমের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। উল্লেখ্য, গুয়াহাটি থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আহাতগুড়ি হল এই অনুষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত স্থান। তবে অন্যান্য স্থানে ছোট আকারে মোষের লড়াই আয়োজন করা হয়ে থাকে।