সময় যত এগোচ্ছে, মায়ানমার ভূমিকম্পের বীভৎসতা আরও প্রকট হচ্ছে। শুক্রবার সকালে সে দেশের মান্দালয় প্রথম ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৭। পরে ৬.৪ মাত্রার আফটার শকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। কিন্তু কতটা গুরুতর হয়েছে মায়ানমারের পরিস্থিতি তা দেখাল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। (আরও পড়ুন: 🤪'জাপান ৭০০%, ভার𓃲ত ১০০%...', শুল্ক ঘিরে জল্পনার মাঝে মুখ খুলল হোয়াইট হাউজ)
আরও পড়ুন: উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে উস্কানি দিতে 'চিনকে ডাকলেন' ইউনুস, পালটা𝓰 তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারের ছবি তোলার জন্য ইসরো তাদের সবচেয়ে উন্নত ইমেজিং স্যাটেলাইট, কার্টোস্যাট-৩ ব্যবহার করেছিল। এটি ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ৫০ সেন্টিমিটারেরও কম রেজোলিউশনে ছবি তুলতে পারে।এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের আগে এবং পরে, মায়ানমারের উপগ্রহ ছবি প্রকাশ করেছে ইসরো। ইসরোর ক্যামেরায় ফুটে উঠেছে কীভাবে ইরাবতী নদীর উপর একটি বিশাল সেতু ভেঙে পড়েছে। মান্দালয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আনন্দ প্যাগোডা কীভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মান্দালয় শহর ধূলিসাৎ হওয়ার ছবিও ফুটে উঠেছে।একই সঙ্গে দেখা গেছে, স্কাই ভিলা, ফায়ানি প্যাগোডা, মহামুনি প্যাগোডা, আনন্দ প্যাগোডা, মান্দালয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন ওয়া শহরের কাছে ইরাবতী নদীর উপর ঐতিহাসিক আভা (ইন ওয়া) সেতু ভেঙে পড়েছে। ইরাবতী নদীর প্লাবনভূমিতে ফাটলও স্পষ্ট হয়েছে স্যাটেলাইটের ছবিতে। এমনকী নদীর গতিপথেরও কিছুটা পরিবর্তনের চিত্র ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি ইসরো জানিয়েছে, মায়ানমারে উৎপন্ন হওয়া ভূমিকম্প হয়েছে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে। ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর প্রায় ৫ সেন্টিমিটার করে ইউরেশিয়ান প্লেটের উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই দুই প্লেটের সংঘর্ষ এখনও থামেনি। (আরও পড়ুন: সন্তান কার? সামনে চলে এল '১৪ বাচ্চার বাবাཧ' ইলন মাস্কের 'কেচ্ছা')
আরও পড়ুন-IndiGo: ইন্ডিগোর উপর ৯৪৪ কোটির আয়কর জরিমানা! বিপাকে যাত্রীরা, কীౠ বলছে সংস্থা?
এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর বিপদের কথা জানিয়েছেন মার্কিন ভূবিজ্ঞানী। মার্কিন ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন, ไমায়ানমারে শুক্র-সকালের ভূমিকম্পের কারণ ছিল ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ভারতীয় পাতের সংঘর্ষ। এবং সেই সংঘর্ষ এখনও থামেনি বলেই মত তাঁর। ইতিমধ্যে মায়ানমার ১৫ বা কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্প এবং ১৪টি আফটার শক। বিজ্ঞানীর মতে, মাটির নীচে যে দুই পাতের সংঘর্ষ হয়েছে তার ফলে নির্গত হয়েছে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি, হিসেবে যা অন্তত ৩৩ꦿ৪টি পরমাণু বোমার শক্তির সমান। সেই কারণেই কম্পন এত তীব্র এবং এই বিশাল সংখ্যার আফটারশক।ভূবিজ্ঞানীদের মতে, যে ভূমিকম্প মায়ানমারের মান্দালয়ের কাছে হয়েছে, তা ৩৩৪টি পরমাণু বোমার ক্ষমতার সমান। অনুমান, ভূমিকম্পে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: খলিস্তানি পান্নুনের হাত🀅 থেকে ডোভালকে 'বাঁচায়' মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা!
মায়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্প হয়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই জীবিত কারও থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। মায়ানমারে ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন, ৩,৯০০ জন। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩০০ জন। এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় শোকপা꧟লনের কথা বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করেছে জুন্টা সরকার। ভূমিকম্পের কারণে ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী নেপিডোয়ে এখনও বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার কোলের সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় চাদর পেতে শুয়ে রয়েছেন। মান্দালয়েও একই অবস্থা।