ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ভিডিয়ো শেয়ার করে, নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী মন্তব্য সামনে এনেছিলেন। তাই এবার আইনি বিপাকে পড়তে হল আইনজীবীকে। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের মীরাভয়ান্দার ভাসাই ভিরার পুলিশ গত সপ্তাহে এই আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচক ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
- কী এমন ছিল ওই ভিডিয়োতে
ধ্রুব রাঠিি একজন ইউটিউবার, ভ্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত বিষয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজস্ব মতামত শেয়ার করেন। এরকমই একটা ভিডিয়ো ১৯ মে দ্য নরেন্দ্র মোদী ফাইলস: এ ডিক্টেটর মেন্টালিটি? নামে আপলোড করেছিলেন রাঠি এবং এটি ১৪ মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে। এখানেই রাঠি অভিযোগ করেছিলেন যে মোদী বিশ্বাস এবং ভোট অর্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে নাগরিকদের বিভ্রান্ত করছেন। ভিডিয়োটি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লক্ষাধিক বার শেয়ার করা হয়েছে।
এই একই ভিডিয়ো বার অ্যাসোসিয়েশন অফ ভাসাই গ্রুপে শেয়ার করেছিলেন ওই আইনজীবী আদেশ বানসোড়। সঙ্গে অনুরোধ করেছিলেন যে ভোট দেওয়ার আগে ক্লিপটি যেন দেখা হয়। বানসোড়ে বহু বছর ধরে পালঘর জেলার ভাসাই আদালতের উকিল তিনি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) রাজ্য সম্পাদকও। তাঁর এই ভিডিয়ো শেয়ার দেখে রাগ সামলাতে পারেননি ভাসাইয়ের একজন আইনজীবী জয়ন্ত ওয়ালিঞ্জকার। তিনি সরাসরি মানিকপুর পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
অভিযোগ দায়ের হতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছিল পুলিশ। তথ্যের ভিত্তিতে এমবিভিভি পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। এ প্রসঙ্গে এমবিভিভি থানার গোপনীয় শাখার হেড কনস্টেবল বলেছেন যে রথীর ভিডিয়ো এবং বানসোড়ের বার্তার মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের শেয়ার করা ভিডিয়ো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা বার্তাটি লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে এবং পুলিশ কমিশনারের আদেশও লঙ্ঘন করেছে। এমবিভিভি পুলিশ কমিশনার এর আগে কমিশনারেটে সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছিলেন, যা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
- 'এফআইআর অবৈধ'
এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বলেছেন ভিডিয়ো শেয়ার করা কোনও অপরাধ নয় এবং তার বিরুদ্ধে এফআইআরটিও বেআইনি। তিনি আরও বলেছেন, ভিডিয়োটি যিনি তৈরি করেছেন, সেই ধ্রুব রাঠিকে মানিকপুর পুলিশ কোনও মামলা দেয়নি, তাঁরা শুধু শেয়ার করার জন্য কেন বানসোড়ের নামে অভিযোগ করেছে। তাহলে, আইনজীবীর, মানিকপুর পুলিশের উচিত ভিডিয়োটি শেয়ার করা কোটি কোটি মানুষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা।
এ প্রসঙ্গে আবার অভিযোগকারী ওয়ালিঞ্জকার বলেছেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করা।