বর্তমানে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ছে। পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে আগামিদিনে এই যানবাহনের ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে র🐓াজ্য সরকার। ফলে আগামিদিনে এই যানবাহন আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ই-রিকশা, থেকে শুরু করে ই-বাইক এবং বিভিন্ন চারচাকার ইলেকট্রিক গাড়িতে ধীরে-ধীরে ছেয়ে যাচ্ছে রাস্তা। এই অবস্থায় পেট্রোল বা ডিজেলচালিত🌠 গাড়িগুলির জন্য যেমন পেট্রোল পাম্পের প্রয়োজন হয়, তেমনই ইলেকট্রিক যানবাহনগুলির জন্য বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের প্রয়োজন আরও বাড়বে। এই অবস্থায় কলকাতা শহরে আরও ১৪টি চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠতে চলেছে।
আরও পড়ুন: তিন বছরের মধ্যে সব সরকারি গাড়ি ইলেকট🌱্রিক হয়🎉ে যেতে পারে
কলকাতা পুরসভার ভবনের পাশে পার্কিং লটে একটি চার্জিং স্টেশন করার কাজ শুরু করেছে একট﷽ি অ্যাপ ক্যাব সংস্থা। এই সংস্থায় ১৪টি চার্জিং স্টেশন বানানোর বরাত পেয়েছে। শহরকে দূূষণমুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সিএনজি চালিত এবং ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামিয়েছে। এবার কলকাতা পুরসভা চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে। ধর্মতলার পর গড়িয়াহাট ব্রিজের নিচে চার্জিং স্টেশন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। পুরসভার আলো বিভাগ এর তদারকির দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়াও, পুরোনো এলিট সিনেমা হলের উল্টো দিকে রাস্তার ধারে একটি চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হবে। অটো, বাইক থেকে শুরু করে চার চাকার গাড়ি সবই সেখানে চার্জ দেওয়া যাবে। সবক্ষেত্রেই দ্রুতগতির চার্জার বসানো হচ্ছে। এই চার্জিং স্টেশনে একসঙ্গে দুটি গাড়ি চার্জ দেওয়া যাবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয়ে যাবে। যদিও চার্জিংয়ের জন্য কত টাকা করে নেওয়া হবে, সে বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। চার্জিং স্টেশন তৈরি হওয়ার পর ট্রায়াল রান হবে। এক-একটি গাড়ি চার্জিংয়ের জন্য কতটা বিদ্যুৎ পুড়ছে, তা খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এছাড়াও, রাজা রামমোহন সরণি, বেথুন রো ইস্ট, ক্ষুদিরাম বসু সরণি, সুন্দরীমোহন অ্যাভিনিউ, এজ😼েসি বোস রোড, রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট, সুরেন্দ্ররঞ্জন রায় রোড, রবীন্দ্র সরোবর, সুকেশ সরকার রোড, গার্ডেনরিচ, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, আবদুল রসুল অ্যাভিনিউ এবং 𝐆কারবালা ট্রাঙ্ক রোডে চার্জিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।