ভারতের প🌱্রত্যাঘাতে থরহরিকম্প পড়শি পাকিস্তান! বুধবার (৭ মে, ২০২৫) ভোর রাতে পহেলগাঁও হামলার (২২ এপ্রিল, ২০২৫) প্রতিশোধ নিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষ♓াবাহিনীসমূহ। অপারেশন সিঁদুর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ন'টি জঙ্গি ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র। আর তার জেরেই সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাব প্রদেশে 'জরুরি অবস্থা' (এমার্জেন্সি) ঘোষণা করল পাক প্রশাসন। সেইসঙ্গে জানানো হল - আপাতত সেখানকার সমস্ত স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানি সেনার দাবি কী?
পাক সেনাবাহিনী দাবি করেছেন, ভারতের এই প্রত্যাঘাতে কম পক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু ♉হয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৪৬ বলেও দাবি করা হয়েছে। মূলত, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাকিস্তানি ভূখণ্ডে থাকা পঞ্জাব প্রদেশেই আছড়ে পড়েছে ভারতের প্রত্যাঘ্যাত।
পাকিস্তানের পঞ্জাব সরকারের ঘোষণা:
𒈔এই প্রত্যাঘাতের বেশ কয়েক ঘণ্টা পর এদিনই পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ ঘোষণা করেন, এই প্রদেশে এখন জরুরি অবস্থার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে তার প্রেক্ষিতেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশবাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। সেখানকার সমস্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্🔥যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমস্ত কর্মীকে অবিলম্বে তাঁদের কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং পঞ্জাব প্রদেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে হাই অ্য়ালার্টে থাকতে বলা হচ্ছে। সিভিল ডিফেন্স-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক ও কর্মীদের𓂃 ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ওই একই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুধবার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এদিকে, অপারেশন সিঁদুরের পর কিছু সময়ের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হলেও পরে তা আংশিক খোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে কাপুরুষোচিত জঙ্গি হ꧋ামলা চালায় পাকিস্তানি এবং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। বুধবার ভোর রাতে তারই জবাব দেয় ভারত।