দুটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এর আগে সাজা কাটতে হয়েছে। এমনকী একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করল এক ব্যক্তি। পরে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ১৬ দিন পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নরসিংহগড় শহরে। অভিযুক্তের নাম রমেশ খাতি।
আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’, বড়তলায় সাতমাসের শিশুকন্যাকে নির্যাতনে ফাঁসি যুবকের
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়সি এক মুক ও বধির প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৪০ বছর বয়সি অভিযুক্তকে ১৬ দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় পুলিশ ৪০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া, ৪০০ ঘণ্টারও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেছে। নয়টি জেলা এবং ১৭টি রেলওয়ে স্টেশন তল্লাশি চালিয়ে শেষমেষ প্রয়াগরাজে রমেশকে খুঁজে পায় পুলিশ। পরে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
কী ঘটেছিল?
জানা যায়, নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে। আচমকা নাবালিকা তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন সকালে নরসিংহগড় রেস্ট হাউসের ঠিক পিছনে সঞ্জয় নগরের জঙ্গলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার পরিবারের সদস্যরা কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি। দুদিন পরে একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নাবালিকার পোশাকে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেন। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য ৯০ কিলোমিটার দূরে ভোপালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ দিন ধরে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। ঘটনায় রাজগড়ের এসপি আদিত্য মিশ্র তদন্তের নেতৃত্ব দেন। ২০ সদস্যের সিট গঠন করেন তিনি। দুই দিন ধরে হাসপাতালে শিশুটির সঙ্গে ছিলেন তিনি। আশা করেছিলেন যে সে বেঁচে যাবে। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।