বিআরএস সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তেলাঙ্গানার এক কংগ্রেস নেতা। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হলেন সেই নেতা। বুধবার রাতে অজ্ঞাত পরিচিত দুষ্কৃতীরা ছুরি দিয়ে তাঁর ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।মৃতের নাম রাজলিঙ্গ মূর্তি। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জয়শঙ্কর-ভুপালাপল্লি জেলার ভূপালাপল্লি শহরে। জানা যায়, মেডিগড্ডা ব্যারেজের কিছু স্তম্ভ ধসের জন্য দায়ী করে চন্দ্রশেখর ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন ওই নেতা।
আরও পড়ুন: সকালবেলা ভরা রাস্তায় যুবককে কুপিয়ে খুন, মহিলার কাণ্ড দেখে হতবাক স্থানীয়রা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূর্তি রাতে যখন বাইকে করে যাচ্ছিলেন তখন আততায়ীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনায় পালানোর চেষ্টা করেছিলেন মূর্তি। তবে দুষ্কৃতীরাও তাঁর পিছু ধাওয়া করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে এই খুনের কোনও সম্পর্ক নেই। মনে করা হচ্ছে, জমি বিরোধের কারণে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। জানা গিয়েছে, কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে মূর্তির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই কারণে শত্রুতার জেরে তিনি খুন থাকতে পারেন। তবে আদৌও জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মূর্তি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী সরলা ভূপালপল্লি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। ওই বছরই কালেশ্বরম লিফট সেচ প্রকল্পের অংশ মেডিগড্ডা ব্যারেজের পিলার ভেঙে যাওয়ার জন্য তিনি কেসিআর, প্রাক্তন সেচমন্ত্রী টি হরিশ রাও এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। তবে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এরপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ওই নেতারা আত্মসাৎ করেছিলেন। জানা যায়, আজ হাইকোর্টে কেসিআরের মামলার শুনানি ছিল। তার একদিন আগেই খুন হয়ে গেলেন তিনি। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।