গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে রাশিয়া। এমনকি ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, গণভোটের মাধ্যমে এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই অঞ্চলের একটি হোটেলে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী ঘাঁটি গড়েছিল বলে দাবি করেছেন গভর্নর।
এই হোটেলে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের লুহান্সক অঞ্চলটি বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার অধীনে রয়েছে। সেখানে একটি হোটেল থেকে রণকৌশল ঠিক করতেন রুশ সেনা আধিকারিকরা। সেই হোটেলে হামলা চালালো ইউক্রেন। এর ফলে বেশ কয়েকজন রুশ সেনা অধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেনলুহান্সকের নির্বাসিত গভর্নর সেরহি গিদাই। যদিও কতজন রুশ সেনার মৃত হয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে রাশিয়া। এমনকি ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, গণভোটের মাধ্যমে এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই অঞ্চলের একটি হোটেলে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী ঘাঁটি গড়েছিল বলে দাবি করেছেন গভর্নর। তিনি জানান, ‘ওয়াগনার বাহিনীর সদর দফতরের কাছেই একটি হোটেলে রুশ সেনা কর্তারা ছিলেন। সেখানেই হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতরভাবে জখম হয়েছে অনেকেই।’ তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। যদিও হামলার বিষয়ে মুখ খোলেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেনের সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের হামলায় হোটেলটি প্রায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওয়াগনার হচ্ছে রাশিয়ার সমর্থনে তৈরি ভাড়াটে সৈন্যদের একটি বাহিনী। যারা ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।ইউক্রেনে হামলা চালানোর নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বাহিনীর। একসময়ের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এবং ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন এই বাহিনীটি তৈরি করেছেন। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিকবার যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের সিরিয়া, লিবিয়া, মালি এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ওডেসা শহরে রাশিয়ার ১০টি ড্রোন গুলি করে নিচে নামিয়েছে।