১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ায় এক গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হন ৩৫ বছরের এমএসসি নীলম শিন্ডে। সেদিন থেকেই কোমাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন ওই ছাত্রী। নীলম মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা। এই অবস্থাতেও মেয়ের কাছে য়াওয়ার জন্য মার্কিন ভিসা পাচ্ছেন না নীলমের পরিবার। ফলে মেয়ের কাছে পৌঁছতে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নীলমের বাবা। সাড়া দিয়েছে প্রশাসনও। দিল্লির তরফে মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরপরই জানা যায়, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আর্জিকে সম্মান জানিয়ে কোমাচ্ছন্ন ভারতীয় ছাত্রী নীলমের পরিবারকে ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য অনুমতি দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। জরুরি ভিসার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টায় একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়।অবশেষে কয়েকদিনের মরিয়া আবেদনের পর নীলমের পরিবারকে জরুরি ভিসা দিল মার্কিন দূতাবাস।
এই প্রসঙ্গে নীলমের ভাই জানিয়েছেন, ‘ভিসার প্রক্রিয়াটি খুবই মসৃণ ছিল। আমরা ভিসার মুদ্রিত কপি পেয়েছি। আমরা পরবর্তী বিমানে মার্কিন মুলুকে যাব। তবে সেখানে যাওয়ার জন্য ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হয়েছে আমাদের। আর্থিকভাবে, যদি সরকার আমাদের সাহায্য করত, তাহলে ভাল হত। কারণ আমরা এখনও তার হাসপাতালের বিল সম্পর্কে অবগত নই। তাই কিছু টাকা ধার নিতে হচ্ছে।’ (আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…')
তবে কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন নীলম? ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর ছাত্রী নীলম শিন্ডে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পিছন থেকে একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। দুর্ঘটনায় তাঁর উভয় হাত এবং উভয় পা ভেঙে গিয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কের জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। এরপর থেকেই তিনি কোমায় রয়েছেন নীলম।
নীলমের বাবা তানাজি শিন্ডে জানিয়েছেন, 'আমরা ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। শুনেছি মেয়ে আইসিইউতে আছে। তারপর থেকে ভিসার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। মেয়ে কেমন আছে জানতেও পারছি না। নীলমের মা কেঁদেই চলেছে। মেয়েকে একবারও কি দেখতে পাব না? গাড়ির চাললকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার রুমমেটরা। রুমমেটরা ১৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের ফোনে এই কথা জানায়। এরপর থেকে চিন্তায় আছি আমরা। পড়াশোনার জন্য মেয়ে চার বছর থেকে মার্কিন মুলুকে আছে। এই বছর তার শেষ বর্ষ ছিল।'