পাঞ্জাবের মোহালি জেলার দাপ্পারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর হাসপাতালে বারবার চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেন। কিন্তু, কেউ প্রসূতির জন্য স্ট্রেচার আনতেও প্রস্তুত ছিল না। অবশেষে হাসপাতালের গেটের কাছে রাস্তায় খোলা জায়গায় সন্তান প্রসব করেন।
শিশুর জন্ম। প্রতীকী ছবি
চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনা ঘটল হরিয়ানার আম্বালায়। স্বামীর বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও তার প্রসূতি স্ত্রীকে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল। এগিয়ে আসেননি কোনও চিকিৎসক। শেষ পর্যন্ত শীতের মধ্যেই সবজির গাড়িতে হাসপাতালের বাইরে প্রসব করলেন ওই মহিলা। এমন অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানার আম্বালায় সরকারি জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শীতের মধ্যেও হাসপাতালে বাইরে শিশুর জন্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনীল বীজ।
জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের মোহালি জেলার দাপ্পারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর হাসপাতালে বারবার চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেন। কিন্তু, কেউ প্রসূতির জন্য স্ট্রেচার আনতেও প্রস্তুত ছিল না। অবশেষে হাসপাতালের গেটের কাছে রাস্তায় খোলা জায়গায় সন্তান প্রসব করেন। মহিলার স্বামী বলেন, ঈশ্বরই তাদের রক্ষা করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্মীদের ভগবান মনে করতাম। কিন্তু গত রাতের ঘটনার পর আমি হাসপাতালের কর্মীদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে মা ও শিশুকে ভেতরে নিয়ে একটি ওয়ার্ডে বসানো হয়।বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজকেও জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি জানান, ‘এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স এবং বিনামূল্যে পরিষেবা সরবরাহ করি। তাই তাদের জানানো হয়েছিল কি না আমি সবকিছু তদন্ত করে দেখব। যদি কোনও অবহেলা হয়ে থাকে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বিষয়টির জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দু-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, যদি রোগীর এমন অবস্থা হয় যে তিনি পৌঁছানোর সময় প্রসব করছেন তবে কর্তব্যরত স্টাফ, ডাক্তার, নার্সদের উপস্থিতির জন্য সেখানে থাকা উচিত ছিল।