আইপিএল ফাইনালের আগেই স্বস্তির খবর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অন্দরে। চিন্তায় ছিলেন রজত পতিদার। কারণ বাবা হওয়ার সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন দলের তারকা ওপেনার ফিল সল্ট। যিনি কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। ফলে তাঁকে ফাইনালে পাওয়া যাবে কিনা, সেই নিয়ে একটা সমস্যা ছিলই। কিন্তু আরসিবির চিন্তা কমালেন সল্ট নিজেই। গতবার জাতীয় দলের খেলার জন্য তিনি আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে পারেননি। কিন্তু এবারে তিনি পুরোদমেই তৈরি নিজের সেরাটা দিতে বিরাট কোহলিদের জন্য।
ম্যাচের আগের দিনও আমদাবাদে অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না ফিল সল্ট। তবে জানা গেল মঙ্গলবার ভোর রাতেই আইপিএলের ফাইনাল খেলতে ভারতে এসে পৌঁছে গেছেন সল্ট। হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়েই মঙ্গলের সন্ধ্যায় নেমে পড়তে তৈরি তিনি।ইতিমধ্যেই সল্ট স্কোয়াডে যোগ দিয়ে দিয়েছেন, আর ফাইনালে যে তিনি প্রথম একাদশেরই বড় ভরসা, সেকথা আর নতুন করে বলার বাকি রাখে না।
এবারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের অন্যতম সেরা পারফর্মারই সল্ট। বিরাট কোহলি এবারের আইপিএলে করেছেন ৬১৪ রান। আর ফিল সল্ট করেছেন ১২ ম্যাচে ৩৮৭ পান, গড় ৩৫। স্ট্রাইক রেট ১৭৮। অর্থাৎ আরসিবির এই দুই ওপেনার মিলেই এবারের আইপিএলে ১০০০-র বেশি রান করেছেন। দলের ভিত যদি এত মজবুত হয়, তাহলে তাঁদের দলও যে তেল খআওয়া মেশিনের মতোই দৌড়বে, সেকথা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে বিরাট তেমন রান না পেলেও ফিল সল্ট মাত্র ২৭ বলে ৫৬ রান করে দলকে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিতিয়েছিলেন ১০ ওভার বাকি থাকতেই।
যদিও আরসিবি আদৌ টিম ডেভিডকে এই ম্যাচে পাবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডেভিডের পরিবর্তে লিভিংস্টোন খেললেও তিনি ফর্মে নেই। ফলে কিউয়িদের মারকুটে ব্যাটার টিম সেইফার্টকেও দেখা হতে পারে মিডল অর্ডারে। ফলে ফাইনালে সরাসরি সেইফার্টকে আরসিবি খেলানোর ঝুঁকি নেবে কিনা সেটা নিয়েও বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েই যাচ্ছে। পঞ্জাব কিংস এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে, আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এই নিয়ে চতুর্থবার আইপিএল ফাইনালে উঠেছে। এর আগের প্রত্যেকবারই দুই দল ব্যর্থ হয়েছে কাপ জিততে, ফলে এবার কোনও এক দলের চ্যাম্পিয়নহীন থাকার ভাগ্য যে পরিবর্তন হতে চলেছে, তা বলাই যায়।