বেশিরভাগ বিবাহিত মহিলাদের তাদের সঙ্গীর বিরুদ্ধে একটাই অভিযোগ থাকে যে তারা তাদের কোনও ঘরের কাজে সাহায্য করে না। যার কারণে তাদের ঘরের সমস্ত কাজ একাই করতে হয়, ফলে সন্ধ্যার মধ্যে তারা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যদি আপনারও প্রতিদিন এই বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সাথে ঝগড়া বা তর্ক হয়, তাহলে প্রথমেই এর পিছনের কারণটি জানা উচিত। আপনার সঙ্গীর এমন করার পিছনে কি কোনও বিশেষ কারণ আছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন স্বামীরা তাদের সঙ্গীকে ঘরের কাজে সাহায্য করে না।
সামাজিক কারণ
রান্না বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো কাজ পুরুষদের এড়িয়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে সামাজিক চাপ। কারণ আজও অনেক জায়গায় এই কাজগুলি পুরুষদের নয়, মহিলাদের জন্য বলে মনে করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী কারণ
যেসব পুরুষ এমন পরিবারে বেড়ে ওঠেন যেখানে তাদের বাবা কখনও গৃহস্থালির কাজে অংশগ্রহণ করেননি, তাদের প্রায়শই এই আচরণটি পুনরাবৃত্তি করতে দেখা যায়। শৈশবে বাড়িতে এমন পরিবেশ দেখে তারা এই মিশ্র দায়িত্বগুলির সাথে অপ্রয়োজনীয় বোধ করতে পারে।
কাজের চাপ
যেসব স্বামীরা অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন তারা প্রায়শই গৃহস্থালির কাজের চেয়ে তাদের উপার্জনকে অগ্রাধিকার দিতে পছন্দ করেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা বাড়িতে তাদের আর্থিক ভূমিকাকে তাদের প্রাথমিক অবদান হিসাবে বিবেচনা করেন। তবে, কখনও কখনও এই ধরনের মনোভাব পারিবারিক দায়িত্বের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।
ক্লান্তি
অনেক সময় স্বামী সত্যিই তার সঙ্গীকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে চান কিন্তু তার স্বাস্থ্য তাকে তা করতে সাহায্য করে না। অফিসে কাজের চাপ বৃদ্ধি এবং যাতায়াতের ক্লান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি চাইলেও ঘরের কোনও কাজ করতে পারেন না।
অলসতা এবং উপহাস
পুরুষরা যখনই গৃহস্থালির কাজে আগ্রহ দেখায়, তখন তাদের প্রায়শই পরিবার, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে তিরস্কারের মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি তাদের স্ত্রীর দাস ইত্যাদি বলা হয়। এর ফলে যুবকরা বিরক্ত হয়ে ঘরের কাজ থেকে দূরে থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় পুরুষরা তাদের অলসতার কাছে পরাজিত হয়ে ঘরের কাজ এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।