ভারতের প্রথম বড় আকারের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল সিপাহী বিদ্রোহ। ১৮৫৭ সালের সেই সময়ের সাক্ষী হয়েছিল ভারতের বহু প্রাচীন সৌধ। তেমনই এক সৌধ বলা যায় পাঞ্জাবের ফিরোদজপুর দুর্গকে। প্রায় ২০০ বছর পর এই দুর্গ জনসাধারণের জন্য খুলে দিল প্রশাসন। পর্যটনের পাশাপাশি ইতিহাসের মাহাত্ম্যও তুলে ধরার চেষ্টা শুরু হল এই উদ্যোগের মাধ্যমে।
ভারতীয় ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সংরক্ষণ
ভারতীয় সেনার গোল্ডেন অ্যারো ডিভিশন এই দুর্গটি খুলে দিয়েছে জনসাধারণের জন্য। জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং জেনারেল মেজর আর এস মনরল এই দিন বলেন, এই পদক্ষেপ মারফত সরকার একদিকে যেমন ভারতীয় ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সংরক্ষণ করছে, তেমনই সীমান্ত এলাকার পর্যটনকেও চাঙ্গা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ZBERA-এর মাঝে লুকিয়ে আছে একটি ZEBRA, খুঁজে পেলেন? সময় কিন্তু মাত্র ৫ সেকেন্ড
বহু বীরগাথার সাক্ষী
ইতিহাস বলছে, ১৯ শতকে শিখ সাম্রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই ফিরোজপুর দুর্গ। ১৯৪৭ সালের পরবর্তী মানচিত্রের নিরিখে বর্তমানে এর অবস্থান ভারত-পাক বর্ডারের খুব কাছে। বহু সাহসিকতা, বহু বীরগাথার সাক্ষী হয়েছে এই দুর্গ। জিওসি মনরল এই দিন পিটিআই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পাঞ্জাবের প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই দুর্গ। তাই শুধুই যে ইতিহাসের গল্প বলবে এর দেওয়াল, তা নয়। বরং, স্থানীয় সংস্কৃতিকেও উদ্বুধ করবে এই দুর্গের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা কাহিনি।’
আরও পড়ুন - দামে কম হলেও পুষ্টিগুণে দামি! লিভারের জন্য সেরা টনিক এই পাতা, জানুন ৯ গুণ
সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন
এক সময় শিখ সাম্রাজ্যের সীমান্ত রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে পরিচিত এই দুর্গটি। ১৮৫৭ সালের সিপাহী যুদ্ধের আগে ১৮৩৯ সালে ওয়েলিংটনের ডিউকের নির্দেশে এই দুর্গটিকে ব্রিটিশ গ্যারিসনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি অস্ত্রাগারে (অস্ত্র ভাণ্ডার) রূপান্তরিত করে। বন্দুকের শুষ্ক উপকরণ, সুতির ভাণ্ডার, পাউডার ম্যাগাজিন এবং গোলাবারুদের ভাণ্ডারও নির্মিত হয়। মূলত বন্দুক, গোলাবারুদ, প্রশিক্ষিত ঘোড়া এবং ষাঁড় সরবরাহের জন্য কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত ফিরোজপুর দুর্গ। অন্তত ১০,০০০ ষাঁড় এবং ঘোড়া ছাড়াও ১৫০টি উটও বেঁধে রাখা হত দুর্গের ভিতর।