শিয়রে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট! তার আগে, তাঁর ৭ দফা দাবির মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যাতে, আয়কর ছাড় ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আয়কর ছাড় এবার ১২ লাখ পর্যন্ত ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন। এই নিয়ে কী বললেন কেজরিওয়াল?
দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের ঠিক আর ৪ দিন বাকি। তার আগে, পেশ হল কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫। এদিকে, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের পারদ চড়িয়ে আম আদমি পার্টির তরফে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি রেখেছিলেন কিছু দিন আগেই। সেই দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, আয়কর ছাড় ৭ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত করতে হবে। ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই করছাড় ১২ লাখ পর্যন্ত রাখলেন নির্মলা সীতারামন। এরপর, এই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় কেজরিওয়াল তুললেন এবারের বাজেটে কী কী পাওয়া গেল না, তার হিসাব।
২০২৫ কেন্দ্রীয় বাজেট, কার্যত মধ্যবিত্তকে ফোকাসে রেখে পেশ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। এদিকে, শিয়রে রয়েছে দিল্লি বিধানসভা ভোট। তার আগে কর ছাড় থেকে শুরু করে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধে ছাড় সংক্রান্ত ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। লাইমলাইটে রয়েছে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়। এর আগে, তাঁর ৭ দফা দাবির মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যাতে, আয়কর ছাড় ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত করা হয়। এদিকে, শনিবারের ঘোষিত বাজেটে, নির্মলা সীতারামান, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবির থেকেও ২ লাখ টাকা বেশি পর্যন্ত সীমা রেখে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড়ের ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরপর বাজেট ঘিরে সমালোচনার পারদ তুঙ্গে রেখে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন,' দেশের কোষাগারের একটা বড় অংশ চলে যায় গুটিকয়েক ধনী কোটিপতির ঋণ মুকুব করতে। আমি দাবি করেছিলাম যে বাজেটে ঘোষণা করা হোক যে ভবিষ্যতে কোনও কোটিপতির ঋণ মুকুব করা হবে না। এ থেকে সংরক্ষিত অর্থ থেকে মধ্যবিত্তদের গৃহঋণ ও যানবাহন ঋণে ছাড় দিতে হবে, কৃষকের ঋণ মুকুব করতে হবে। আয়কর এবং জিএসটির করের হার অর্ধেক করা উচিত। আমি দুঃখিত যে এটি করা হয়নি।'
এর আগে, যে ৭ দফা দাবি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন, সেটিতে ছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট ২ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হবে। প্রাইভেট স্কুলের ফি-তে ক্যাপ বসানোর কথা তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার খরচে ভর্তুকি, স্কলারশিপের প্রস্তাব তিনি দেন। তাঁর দাবি ছিল, জিডিপির ১০ শতাংশ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে খরচের। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থেকে জিএসটি সরানোর দাবি তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। সিনিয়র সিটিজেনদের সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে বিনামূল্যের হেল্থকেয়ার দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়াও স্বাস্থ্যবীমা প্রিমিয়ামে কর ছাড় ও ট্রেনের সফরে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড়কে ফিরিয়ে আমার দাবি করেন কেজরিওয়াল। সঙ্গে ছিল কর ছাড় নিয়ে ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত করার দাবি।