১৪৪ বছর পর যে মহাযোগ তৈরি হয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাবে এই মহাশিবরাত্রির দিনই। বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি হল এই মহাকুম্ভ মেলা। টানা ৪৫ দিনব্যাপী এই মহাকুম্ভ চলছে। মহাশিবরাত্রিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে শেষ স্নানের মাধ্যমে তা শেষ হবে। জেনে নিন পরবর্তী পূর্ণ কুম্ভের দিনক্ষণ।
মহাশিবরাত্রিতেই সমাপ্তি ২০২৫ মহাকুম্ভের! পরবর্তী কুম্ভমেলা কবে?জেনে নিন দিনক্ষণ
১৪৪ বছর পর যে মহাযোগ তৈরি হয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাবে এই মহাশিবরাত্রির দিনই। বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি হল এই মহাকুম্ভ মেলা। টানা ৪৫ দিনব্যাপী এই মহাকুম্ভ চলছে। মহাশিবরাত্রিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে শেষ স্নানের মাধ্যমে তা শেষ হবে। এই বছর এই পবিত্র অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের প্রায় ৬৩.৩৬ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এদিন শেষ পুণ্যস্নানের জন্য দারুণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোর থেকে জমজমাট মহাকুম্ভ মেলা। যদিও সোমবার থেকেই ভক্তরা ‘অমৃত স্নান’ -এর জন্য এখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন।
এই মহাকুম্ভে শেষ পুণ্যস্নানের যোগ রয়েছে মহাশিবরাত্রির দিনই। বিশ্বাস করা হয় যে এই সময় স্নান করলে বহু জন্মের পাপ ধুয়ে যায় এবং মুক্তির পথ আরও প্রশস্ত হয়। তাই শেষ দিনের পুণ্যস্নানে যোগ দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় ভিড় জমিয়েছেন।
২০২৫ সালের এই কুম্ভ মেলা অন্যান্য কুম্ভ মেলার থেকে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ প্রতি ১৪৪ বছরে একবার হয় এই মহাকুম্ভের মেলা। এমন একটি বিরল আধ্যাত্মিক ঘটনা আবার ঘটবে ১৪৪ বছর পর। তবে প্রতি ১২ বছরে একবার হয় পূর্ণ কুম্ভ।
মহাকুম্ভ আবার ১৪৪ বছর পর হলেও ১২ বছর পরই ফের হবে পূর্ণ কুম্ভ। জেনে নিন পরবর্তী পূর্ণ কুম্ভের দিনক্ষণ। প্রয়াগরাজে পরবর্তী কুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে ২০৩৭ সালে অর্থাৎ ঠিক ১২ বছর পর। ২০৩৭ সালের কুম্ভের প্রধান স্নানের তারিখগুলি হল:
মকর সংক্রান্তি: ১৪ জানুয়ারী, ২০৩৭।
মৌনী অমাবস্যা: ১৬ জানুয়ারী, ২০৩৭।
বসন্ত পঞ্চমী: জানুয়ারী ২১, ২০৩৭।
২০৩৭ সালের পূর্ণ কুম্ভ আবারও ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসবেন।
তবে ২০৩৭ সালের আগেও কুম্ভ মেলা হবে। যাঁরা এই মহাকুম্ভে যোগ দিতে পারেননি, তাঁরা আগামী বছরগুলির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারেন। ২০২৭ সালে নাসিকে কুম্ভমেলা হবে ১৭ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ত্রিম্বকেশ্বরে। মহারাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া ২০৩৩ সালে হরিদ্বারে কুম্ভমেলা হবে। এটিও একটি বড় ধর্মীয় সমাবেশ। এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ যে ফের উপস্থিত হবেন তা আন্দাজ করাই যায়।