সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে বিজেপির। ১ কোটি টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও সদস্য সংগ্রহ লক্ষ্যপূরণ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকায় রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন ধরল। দলত্যাগ করলেন ৫০ জন নেতাকর্মী। এর ফলে নন্দীগ্রামে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। যদিও দলত্যাগী সদস্যরা কোন দলে যোগ দেবেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি। তবে তাতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: সদস্য সংগ্রহের জন্য পুরস্কার, নগদের টোপ, দলের বিধায়ককে সতর্ক করল বিজেপি
যে সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীরা দলত্যাগ করেছেন তার মধ্যে রয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সদস্য, জেলা বিজেপি সদস্য অশোক করণ এবং দেবাশিস দাস, নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রমূখ। তাদের দাবি, দুর্নীতির কারণে এবং নন্দীগ্রামে বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই তারা দলত্যাগ করেছেন। একদিকে, বিজেপি যখন বাংলায় টার্গেট পূরণ করতে পারছে না সেই আবহে দলত্যাগ গেরুয়া শিবিরের পক্ষে একটি বড় ধাকা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর গড়ে ধাক্কা এই প্রথম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কাঁথি সমবায় সমিতি এবং এগরা সমবায় সমিতির নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। দুটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে কাঁথি সমবায় সমিতিতে নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও তাতে ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। ১০৮ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১০১টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন।
যদিও দলত্যাগের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, দলে কেউ থাকবেন বা ছাড়বেন সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। হিন্দুরা জানেন সুরক্ষিত থাকতে হলে বা বাংলাদেশের মতো যেন তৈরি না হয় তার জন্য কোন দলে থাকতে হবে। এদিকে, দলত্যাগী নেতারা কোন দলে যোগ দেবেন সেবিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি। তবে এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাদের কটাক্ষ, বিজেপির সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগ নেই। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসাতেই বিজেপি টিকে আছে। তাদের ভোটে লড়ার ক্ষমতা নেই। মানুষ জানে কোন দল উন্নয়নে বিশ্বাস করে। তাই নেতা কর্মীরা দলত্যাগ করছেন।